সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের অনুরোধ জানাবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো ‘কিছুটা উদ্বেগ’ থাকলেও তা কেটে যাবে চার-পাঁচ মাসে। আর ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোকেও পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনও বলছে, ভোটের সময় অতিরিক্ত সেনাসদস্য মোতায়েনের অনুরোধ করবে সরকারকে, তাতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

রোববার বিকালে নির্বাচন ভবনে সিইসি এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৈঠকে সিইসি ছাড়াও একজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আমরা মূলত আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে তাদের প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি, সীমানা নির্ধারণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রস্তুতি থাকলেও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে ইসি। আমরা যতটুকু তাদের সঙ্গে আলোচনায় বুঝেছি, তাদের নির্বাচনি প্রস্তুতি যেভাবে নেওয়া দরকার তারা যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এখনো পুলিশের ভূমিকা অপেক্ষাকৃত দুর্বল। আগের সরকার পুলিশকে এমনভাবেই ব্যবহার করেছে যে তারা নিজেরাই তাদের আচরণের জন্য লজ্জিত এবং সেজন্যই এই দুর্বলতা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেনাবাহিনী এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সহযোগিতা করছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হলো, নির্বাচনের সময় যদি প্রয়োজন হয় তারা আরও বেশিসংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়নের ব্যাপারে অনুরোধ করবে। উপকূলবর্তী এলাকার জন্য কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

আরপিওতে না ভোটের বিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা নতুন প্রস্তাব এবং এটা আমাদের প্রস্তাব না। যারা প্রস্তাব করেছে, এ ব্যাপারে তাদের যদি জিজ্ঞাসা করেন তাহলে ভালো হয়।

ফেব্রুয়ারির ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা বলছে কোনো কোনো দল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচন হবে; নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর কীসের ভিত্তিতে কোন ক্ষমতার এই কথা বলে তাদের জিজ্ঞাসা করলে ভালো হয়।

সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, কমিশন জানিয়েছে ভৌগোলিক অখণ্ডতা, প্রশাসনিক অখণ্ডতা, ভোটার সংখ্যার বিষয়টা বিবেচনায় নিয়েছে।