পাবনা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আলহাজ্ব হাসানুল ইসলাম রাজা বলেছেন, বিগত ১৭ বছর ভাঙ্গুড়ায় এমপি থাকায় সব উন্নয়ন হয়েছে ভাঙ্গুড়ায়। চাটমোহরে উন্নয়ন হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনে চাটমোহর থেকে ধানের শীষের এমপি প্রার্থী দিতে হবে। চাটমোহরের বাইরের কোন প্রার্থীকে আমরা মানবো না। মাঠে-ঘাটে চা স্টলে বাসস্ট্যান্ডে সব জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলুন আমরা চাটমোহরের এমপি প্রার্থী চাই। চাটমোহরের স্বার্থে আমরা এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
শুক্রবার (২০ জুন) রাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কাটেংগা গ্রামে সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানুল ইসলাম রাজা আরও বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি চাটমোহরের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতা বিভিন্ন রকম কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে ব্যস্ত। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, থানা আর জমির দালালি বিচার শালিস নিয়ে ব্যস্ত। একমাত্র আমরা কোন দুর্নীতি চাঁদাবাজি করি না। যেখানেই হবে দুর্নীতি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি দখলবাজি সেখানেই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করব। চাটমোহরের বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতারা ভাঙ্গুড়ার একজনকে এমপি প্রার্থী বানানোর নীল নকশা করছে। চাটমোহরের স্বার্থে আমরা ওইসব ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। যদি ভাঙ্গুড়ার নেতা এমপি হয় তাহলে সেই স্বৈরাচারী সরকারের এমপির মতোই হবে। চাটমোহরবাসীর আর কোন লাভ হবে না। অতএব কথা একটাই চাটমোহরের স্বার্থে আমরা চাটমোহরের এমপি প্রার্থী চাই।
রাজা বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আপনাদের সাহস থাকলে আমার সামনে এসে চ্যালেঞ্জ করেন। আমি প্রমাণ দিতে পারব আপনারা চাটমোহরের ১১টি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা, উপজেলার নেতা এমনকি যত এমপি প্রার্থী আছেন সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িত, সবাই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, সব ইউনিয়নে ইউনিয়নে কার্ড ভাগাভাগির বাণিজ্যের সাথে জড়িত। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপি নেতাদের বলেছেন আপনারা সাধারণ মানুষের কাছে যান, কিন্তু আমাদের চাটমোহরের নেতারা ব্যস্ত ভাগাভাগিতে বাণিজ্য নিয়ে, টাকা কামাই নিয়ে ব্যস্ত। যার চাল চুলা ছিল না, আজ সে কোটি কোটি টাকার মালিক। এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। তাদের রাজনীতি তো জনগণকে ভাঙ্গাইয়া রাজনীতি করছে। তারা এমপি হয়ই নাই তাদের মধ্যে এখনই এত দুর্নীতি। তাহলে এমপি হলে চাটমোহরের দুখি অসহায় মানুষের কি হবে। তাদের নেতাকর্মীরা গত দশ মাস ধরে চাটমোহরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। তাই আমি যতদিন বেঁচে থাকি চাটমোহর ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুরের দল মত ধর্ম বর্ণ জাতি গোত্র নির্বিশেষে সব শ্রেণীর পেশার মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে যাব।
স্থানীয় বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও চাটমোহর পৌর বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মাস্টারের পরিচালনায় উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস আলী ইনু, ফৈলজানা ইউনিয়ন-বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মাস্টার, যুবদল নেতা আল আমিন তালুকদার, বিএনপি নেতা ফয়েজ ই-ইলাহী বুলু, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রুহুল হোসেন, বিএনপি নেতা আতাউর মেম্বার, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধক্ষ্য রফিকুল ইসলাম রফিক, চাটমোহর পৌর বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, বিএনপি নেতা মোবারক হোসেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি রেজাউল করিম বাবু প্রমুখ।