রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

আমুর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ শাওন পুলিশের জালে, ঝালকাঠিতে বইছে স্বস্তির বাতাস

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএস) আরিফুল ইসলাম শাওন ওরফে পিএস শাওনকে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ শুভাঢ্যা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাওন। জনশ্রুতি রয়েছে, ওই দিন বিকেলে আমু’র ইস্কাটনের বাসা থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

শাওন খান ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মো. ফিরোজ আলম নলছিটি উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের শেষদিকে জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার মাধ্যমে আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন শাওন। মূলত আমুর তৎকালীন বিশেষ সহকারী ফখরুল মজিদ কিরণ কম্পিউটার ব্যবহার না জানায় তার কাজের সহায়তায় নিয়োগ দেওয়া হয় শাওনকে। এরপর থেকে ক্ষমতার চূড়ায় উঠে যান তিনি।

দীর্ঘ সময় ধরে আমুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে থাকায় শাওন জড়িয়ে পড়েন টেন্ডার বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য, ভোট জালিয়াতি, টিআর-কাবিখা ও বদলিসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নিয়োগ বাণিজ্যে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘শাওন খান’ নামে।

তার প্রভাবেই নলছিটি পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তার বাবা। শোনা যায়, পৌরসভার নানা দুর্নীতির মূল চালকও ছিলেন এই শাওন। ছোট ভাই মুকুল খানকে চাকরি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরে। নিজে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কিনেছেন একাধিক ফ্ল্যাট ও জমি। চলাফেরায় ব্যবহার করতেন একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি।

ঢাকায় তার আটকের খবরে ঝালকাঠিতে স্বস্তির হাওয়া বইছে। এলাকাবাসী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।