শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
নিজস্ব প্রতিবেদক : আরবি ভাষাকে ‘ইকোনমিক টুলস’ হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকার একাধিক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এমনকি ইসলামি ভাবধারা সংরক্ষণে সরকারের ধারাবাহিকভাবে কাজের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আরবি ভাষা প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচিও চালু করা হচ্ছে। আরবি ভাষাকে শুধু ভাষা নয়, একটি কার্যকর দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় হাতিয়ার হিসেবে দেখতে হবে। আরবি ভাষাকে ‘ইকোনমিক টুলস’ হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
ইমাম ও খতিবদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, মসজিদে খুতবার সময় আরবি অংশের অনুবাদ করলে মুসল্লিদের উপকার হবে এবং আরবি শেখার আগ্রহ বাড়বে। একই সঙ্গে আলেমদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়িয়ে আরবি ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্টজন ও উদ্যোক্তাদের টিভি ও রেডিওতে আরবি ভাষাভিত্তিক বিশেষ অনুষ্ঠান চালুর বিষয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক শরীয়াহ অ্যাডভাইজারি বোর্ড এর চেয়ারম্যান ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবু বকর রফীক আহমদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম। সভায় আরবি ভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিয়া মো. নরুল হক, কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ ও রেজিস্ট্রার মো. আইউব হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ শতাধিক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সেরা আরবি শিক্ষক নির্বাচনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ সেরা নয়জন শিক্ষক ও আরবি বই পাঠ ও ভাষা দক্ষতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী আটজন শিক্ষার্থীর হতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়া সারা দেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আরবি ভাষাগত দক্ষতার উপর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
