রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র—এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এক সিনিয়র মার্কিন কূটনীতিক সম্প্রতি টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার বিষয়টি “বিবেচনায় রয়েছে”, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, “এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সিদ্ধান্তটা আমাদের নয়, হোয়াইট হাউস নেবে।”

এর আগে মঙ্গলবার ট্রাম্প একাধিক পোস্টে জানান, “আমরা এখন ইরানের আকাশে পুরো নিয়ন্ত্রণে আছি”। তিনি দাবি করেন, তারা জানেন ইরানের ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। এবং এক পোস্টে লেখেন, “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।”

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ না করার কড়া সতর্কতা জারি করেছে।

অন্যদিকে সাংবিধানিক ক্ষমতার বিষয়টি সামনে এনে কংগ্রেসের ডজনখানেক রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সদস্য প্রেসিডেন্টের একতরফা যুদ্ধঘোষণার ক্ষমতা রুখতে নতুন একটি ‘ওয়ার পাওয়ারস রেজল্যুশন’ উত্থাপন করেছেন।

সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, “যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা কংগ্রেসের, প্রেসিডেন্টের নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে বেআইনি সামরিক অভিযান চালাতে পারেন না।”

এছাড়া এলিজাবেথ ওয়ারেন, ক্রিস মারফি, র‌্যান্ড পল প্রমুখ সিনেটররাও যুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।

অবশ্য ট্রাম্পের নিজের ঘর অর্থাৎ ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ঘরানার প্রভাবশালী নেতারাও যুদ্ধবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। টাকার কার্লসন, স্টিভ ব্যানন, চার্লি কির্ক, মার্জোরি টেইলর গ্রিন— তাদের মতে, “বিদেশি যুদ্ধে জড়ালে আমেরিকার ক্ষতি, নিরীহ মানুষের মৃত্যু, এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসবে।”