নিজস্ব প্রতিবেদক : পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনি গণসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক।তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে।সেখানে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
শুক্রবার বিকালে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল (আশঙ্কাজনক)। তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বাম কানের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান সঙ্গীরা। এ সময় রক্তে ভেসে যায় তার পুরো শরীর।
হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার সঙ্গীরা বি নেগেটিভ রক্তের খোঁজ করছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে হাদির।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোডে নির্বাচনি প্রচার চালানোর প্রাক্কালে দুর্বৃত্তরা গুলি করে তাকে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ২টা ২২ মিনিটের দিকে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ডিআর টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তিনটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
জুলাইর গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন ছাত্রনেতা ওসমান হাদি। বিক্ষোভের সময় তার জ্বালাময়ী বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু শিক্ষার্থী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নামেন। গণঅভ্যুত্থানের পরও তিনি রাজপথে সক্রিয় রয়েছেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন ঢাকা-৮ আসন থেকে। ভোটের মাঠে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন তিনি।
গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।