রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে নিম্নচাপের প্রভাব: জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, একজনের মৃত্যু

কক্সবাজার প্রতিনিধি : উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মহেশখালিতে জোয়ারের পানিতে ডুবে দানু মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোঃ আব্দুল হান্নান বলছেন, নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে পারে, তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা নেই। গভীর নিম্নচাপটি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার কোন সম্ভাবনা নেই।
তবে নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়েছে জোয়ারের পানি। এতে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, নাজিরারটেক, খুরুশকুল, মহেশখালী ও কুতুবদিয়াসহ উপকূলের বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। বৃষ্টিপাতের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নানের মতে আজ ও কাল ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর পরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ১-২ দিন থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে মোট ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানিতে ডুবে দানু মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিহত দানু মিয়ার পরিবার।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১ টায় উপজেলার কুতুবজোমের ঘটিভাঙা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। দানু মিয়া দুপুরে দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জোয়ারের পানিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।