রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইলে ‘ধ্বংসলীলা’ চালাবে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দুই দিনে ইরানের ৪০টির বেশি সামরিক স্থাপনায় ৭০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ইরানের সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলার প্রতিশোধস্বরূপ পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। আজ রাতেই আবার বড় ধরণের হামলা চালাতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচের দেশটি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরাইলে ‘ভারী ও ধ্বংসযজ্ঞ’ হামলা চালাবে ইরান। এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এরআগে, ইরানের ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র শুক্রবার গভীর রাতে তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় তাদের বাড়িঘরে আঘাত হানে। যা ইসরাইলে ব্যাপক ধ্বংস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ওই হামলায় ৩ জন নিহত ও ১৭৩ জন আহত হয়েছেন।

হামলার সময় ওইসব এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে এবং আতঙ্কিত লাখ লাখ ইসরাইলি নিরাপদ কক্ষ ও বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছোটেন। যদিও ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে। তবে বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র যেগুলোতে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল—সেগুলো তেল আবিব, রামাত গান ও রিশন লেৎসিয়নের আবাসিক ভবনে সরাসরি আঘাত হানে এবং রীতিমত ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়।

ইরানের ওই হামলা শুরু হয় ইসরাইলি হামলার একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে। যখন ইসরাইল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে প্রথম দফা হামলা চালায়। এসব হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়।

ইসরাইলের দাবি, তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত রাখতে চায়। যদিও ইরান বলে আসছে, তারা পরমাণু অস্ত্রে বিশ্বাস করে না। কিন্তু বর্তমানে তারা ৬০% পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। যা বেসামরিক ব্যবহারের চেয়ে অনেক বেশি এবং অস্ত্রমান ইউরেনিয়ামের মাত্রার খুব কাছাকাছি।