যশোর প্রতিনিধি : কৃষিকে আধুনিক, লাভজনক ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করতে ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ এবং ক্রপ জোনিং সিস্টেমের’ ব্যবহার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস।
রোববার ডিএই যশোর অঞ্চলের কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলমগীর বিশ্বাস আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে কৃষি খাত আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ ও ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’-এর মতো প্রযুক্তি কৃষকের হাতে পৌঁছে দিতে পারলে কৃষি উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।”
“সরকারের এ নীতির ফলে কৃষি খাত এখন ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশ হয়ে উঠেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএআরসি’র সদস্য পরিচালক (শস্য) ও ক্রপ জোনিং প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবদুছ ছালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের ক্রপ এক্সপার্ট ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরী। ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’-এর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. আবিদ হোসেন চৌধুরী। আর ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’-এর ব্যবহারবিধি তুলে ধরেন জিআইএস ইউনিটের পরিচালক হাসান মো. হামিদুর রহমান।
প্রশিক্ষণে জানানো হয়, ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ একটি আধুনিক কৃষি পরিকল্পনা পদ্ধতি যার মাধ্যমে মাটি, আবহাওয়া, পানির প্রাপ্যতা ও স্থানীয় বাস্তবতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। কোন অঞ্চলে কোন ফসল চাষ উপযুক্ত এতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হন।অন্যদিকে, ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ একটি স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন, যা কৃষকদের জন্য কৃষি তথ্য, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সারের সুপারিশ, ফসল বীমা এবং বাজারদরের তথ্য সরবরাহ করে। এটি কৃষকদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষিকে টেকসই, আধুনিক ও জলবায়ু-সহনশীল করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
