শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কোরআন ও রাসুলের সাথে বেয়াদবি করলে করুণ পরিণতি হয় : এম আবদুল্লাহ

ঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিণতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, যারা আল্লাহর কোরআন, রাসুল ও দ্বীনি শিক্ষার সাথে বেয়াদবি করবে তাদের পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে আমাদের সামনে সেই নজির স্থাপিত হয়েছে । ৭০ বছরের একটি পুরোনো দল নিষিদ্ধ হয় কোন প্রেক্ষাপটে সেই বাস্তবতাটুকু উপলব্দি করতে হবে।


তিনি বলেন, যখন কেউ পবিত্র কোরআন ও আল্লাহর রাসুলের সাথে বেয়াদবি করবে, যখন আল্লাহর রাসুলের হাদিসকে উপেক্ষা করবে এবং নাস্তিক ব্লগারদের যারা আস্কারা দেয় তাদের পরিণাম যে কতটা করুণ হয়, তারা যে বাংলার মাটি থেকে শুধু উচ্ছেদই হয় তাই নয়, নিজ দেশে থাকার যোগ্যতাটুকুও হারিয়ে ফেলে। সেটা আল্লাহপাক আমাদের সামনে একদম হাতে ধরিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।

বুধবার সকালে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া আল হেরা কিডস হ্যাভেন মাদরাসা প্রাঙ্গণে কৃতিশিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


এম আবদুল্লাহ বলেন, দ্বীনি শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার যে মর্যাদা সেটি এই নতুন বাংলাদেশে অনেক বেশি উপলব্দি হচ্ছে। গতবছর ৫ই আগস্টের আগের বাংলাদেশে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা পড়তো, তাদেরকে জঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত এবং প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ও ধর্মদ্রোহী সরকার হেন কোনো অপচেষ্টা নাই, যা করে নাই। দ্বীনি শিক্ষাকে স্তব্দ করে দেওয়ার সেই অপচেষ্টা আওয়ামী লীগের জন্যই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে । সেই দলটি, সেই রাজনীতিটি ও সেই সরকারটি আজকে দেশের মানুষের কাছে একটি অভিশপ্ত দল এবং সরকার হিসেবে প্রতিবিম্ব হয়ে সামনে এসেছে।

আল হেরা গ্লােবাল এডুকেশন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা জাফর আহমদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও আল হেরা কিডস হ্যাভেন মাদরাসার কো-অর্ডিনেটর মাওলানা হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফ বিল্লাহ। এতে বক্তব্য রাখেন আল হেরা কিডস হ্যাভেন খাঁ-পাড়া ক্যাম্পাসের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মেজাদুল হক নাসিমী ।

উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের মহিলা ভাইস চেয়াম্যান তাহমিনা সুলতানা সাকি, হাফেজ সাইদুর রহমান, হাফেজ জাকারিয়া, হাফেজ উমায়ের হােসেন, মাওলানা রাকিব হাসান, হাফেজ ইয়াহিয়া, হাফেজ উজাইর ইসলাম, মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুফতি ইমরান খান, মুফতি আমিনুল ইসলাম, মাজেদুল হক, হাফেজ আশরাফুল ইসলাম, হাফেজ সিহাব উদ্দিন, হাফেজা সালমা আক্তার, হাফেজ আয়েশা সিদ্দিকা, হাফেজা জাকিয়া জান্নাত, শারমিন আক্তার, সুমাইয়া হোসেন, সালমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি, সম্পা আক্তার, নিপা আক্তার প্রমুখ।


পরে কৃতি শিক্ষার্থী, অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।