শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

কোরবানির ঈদে মুন্সীগঞ্জে পশু উদ্বৃত্ত : ঢাকাসহ আশপাশে সরবরাহের প্রস্তুতি

oplus_0

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ জেলায় পশুর চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জেলার ছয়টি উপজেলার ৬ হাজার ২৭২ জন খামারি মোট ৮১ হাজার ৮৭৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন। অথচ জেলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা রয়েছে ৬৯ হাজার ৭৭০টি। ফলে জেলার খামারগুলোতে ১২ হাজার ১০৫টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে, যা ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহের পরিকল্পনা করছেন স্থানীয় খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি পশু প্রস্তুত হয়েছে গজারিয়া উপজেলায়। এখানকার খামারিরা ২৫ হাজার ৩৫১টি পশু প্রস্তুত করলেও চাহিদা রয়েছে মাত্র ১৮ হাজার ৫০০টির মতো। এছাড়া টংগিবাড়ী, শ্রীনগর, সদর, সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে।

খামারিরা জানান, চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় একদিকে যেমন ক্রেতারা পাচ্ছেন পছন্দমতো পশু বাছাইয়ের সুযোগ, অন্যদিকে খামারিরাও আশাবাদী, বছরের পরিশ্রমের সঠিক মূল্য এবার পাওয়া যাবে। তবে তারা মনে করছেন, প্রশাসনের সঠিক তদারকি থাকলে নিরাপদ পশু বাণিজ্যে আরও গতি আসবে।

এদিকে জেলার বিসিক গরুর হাটসহ অন্যান্য অস্থায়ী হাটগুলোতে অন্যান্য জেলা থেকেও গরু আসতে শুরু করেছে, যা স্থানীয় খামারিদের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগেরও জন্ম দিয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “চাহিদার তুলনায় মুন্সীগঞ্জ জেলায় পশু প্রস্তুতির পরিমাণ বেশি। জেলার ৩৯টি কোরবানির হাটে মোবাইল ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। স্বাস্থ্যবান ও ইনজেকশনমুক্ত পশু নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে।”

জেলায় উৎপাদিত ৮১ হাজার ৮৭৫টি কোরবানির পশুর মধ্যে রয়েছে ৫৯ হাজার ৮৭৭টি গরু, ২২২টি মহিষ, ১৮ হাজার ৬৩৭টি ছাগল এবং ৩ হাজার ১৩৯টি ভেড়া।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় এবার আগেভাগেই অনেকেই কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন। তবে গত ১৭ বছর ক্ষমতায় থাকা দলের নেতাকর্মীরা পলাতক থাকায় একটি অংশের মধ্যে কোরবানির প্রতি আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। অন্যদিকে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে কোরবানির পশু ক্রয় করছেন বলে বিভিন্ন হাট ঘুরে জানা গেছে।

পশুর সরবরাহে উদ্বৃত্ত থাকায় এবার মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ আশপাশের জেলার হাটগুলোতে পশু সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।