খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে “বৈঠকে” সাংবাদিকদের মিলন মেলা হয়েছে। প্রাণ খুলে কথা বলেছেন সাংবাদিকরা। জানিয়েছেন নানা অনুযোগ। ফ্যাসিষ্ট হাসিনার আমলে খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নানা প্রতিবন্ধকতার কথা উঠে আসে এই মিলন মেলায়।
ঈদ উল আযহার ৪র্থ দিন মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার খাগড়াছড়ির কলাবাগানস্থ “বৈঠকে” জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান ছিল। খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন, জেলার সকল প্রেসক্লাব ও পেশাজীবি সকল সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিল। জেলার প্রায় দেড় শতাধিক সাংবাদিক বিএনপির নেতা ওয়াদুদ ভূইয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দেন।
এতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম এন আবছার ও যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু।
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মিলন মেলায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারন সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল,খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহরিয়ার ইউনুছ, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি নিজাম উদ্দিন লাভলু, দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আমিন, গুইমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, পানছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মাহিম, মাটিরাঙা প্রেসক্লাবের সভাপতি জসিম উদ্দিন, লক্ষ্মীছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক হোসেন প্রমূখ।
মিলন মেলায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকতার পরিবেশ ছিল না। এই দীর্ঘদিন যারা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে দায়িত্বে ছিলেন, তারা নিজেদের স্বার্থে পুরো জেলার সাংবাদিকদের জিন্মি করে রেখেছিল। লেখার সুযোগ ছিল না, কথা বলার সুযোগ ছিল না। ৫ আগষ্টের পর থেকে খাগড়াছড়ির সাংবাদিকরা এখন স্বাধীন। যা দেখছে তাই লেখতে পারছে। তবে কিছু ব্যক্তি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নাম ভাঙ্গিয়ে পুরো খাগড়াছড়ি জেলায় চাঁদাবাজি করছে। এতে করে মহান সাংবাদিকতা পেশার সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, শীঘ্রই এ বিষয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে জানান।
পক্ষান্তরে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া যা সত্য, যা দেখছে তা লেখার আহবান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। তারা যা দেখবে তাই লেখবে। এর ফলে আমরা যারা রাজনীতি করি তারা শুদ্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে কর্মরত সাংবাদিকরা স্বাধীন। সাংবাদিকরা তৃণমুল থেকে নানা অনাচার-অবিচারের তথ্য তুলে ধরবে। খাগড়াছড়ির বিএনপির নেতা-কর্মীরা এটাকে সাধুবাদ জানাবে। খাগড়াছড়ি বিএনপির যে কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী কোন অপরাধ করলে তা নির্ভয়ে লেখার জন্য তিনি অভয় দিয়ে বলেন, ৫ আগষ্টের পর প্রায় দুই শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে বহি:স্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মিলন মেলায় যে ব্যক্তি অপসাংবাদিকতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।