বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

খাদ্য অপচয়ের যুগে একটি জীবন্ত শহর গোরস্তান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে : শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অবরোধে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দাদের। চলমান এই অবরোধের কারণে অপুষ্টির মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই দৃশ্যগুলো নাড়া দিচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের নাগরিকদের। ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা নাড়া দিয়েছে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহকে। ফিলিস্তিনিদের কষ্টের কথা তুলে ধরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের একবেলার ক্ষুধার কষ্ট দেখেই আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। অথচ গাজার লাখ লাখ শিশু দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে তিল তিল করে মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানবতার ধ্বজাধারীরা একদিকে তাদের ওপর বোমা ফেলছে। আবার যারা বোমা থেকে বেঁচে যাচ্ছে, তাদেরকে মারছে খাবারের কষ্ট দিয়ে।

তিনি বলেন, এই বিপুল খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য অপচয়ের যুগে, এই পৃথিবীরই একটি ভূখণ্ডে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, আমাদের চোখের সামনে একটি জীবন্ত শহরকে গোরস্তান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, অথচ তার কোনো অভিঘাত আমাদের জীবনের ওপর পড়ছে না।

বিশ্ব মোড়লদের নিরবতায় আফসোস করে তিনি বলেন, আরববিশ্ব, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা কিংবা বিশ্বনেতারাও নিশ্চুপ। আটশ কোটি মানুষ আমরা ইতিহাসের এই দায় কীভাবে শোধ করব!

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, হে আল্লাহ, যাদের কারণে গাজার শিশুরা অনাহারে মরছে, তাদের জন্য তুমি দ্বিগুণ শাস্তির ব্যবস্থা করো।

ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে ক্ষুধার কষ্টের মৃত্যুই হয়তো সব থেকে কঠিন। কারণ, অন্যান্য দুর্ঘটনার মৃত্যু হঠাৎ করে আসে। কিন্তু অনাহারের মৃত্যু মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে। গাজার শিশুদের কঙ্কালসার শরীর দেখেও যাদের বিবেক জাগ্রত হয় না, তাদের ঘুম আর কীসে ভাঙবে!