নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দলগুলো গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রধান শক্তি-বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদ এর সহ-সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নুরুল কবির বলেন, সারাবিশ্বে যখন ঘটা করে গণমাধ্যম মুক্ত দিবস পালন করতে হয়, তখন বুঝতে হয় যে, প্রার্থক্য সূচিত হওয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। বাংলাদেশ এখনো সূচকে অনেক নিচে অবস্থান করছে। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের পরিচালক ও রাজনৈতিক দলগুলো গণমাধ্যমকে বাধাগ্রস্থ করার প্রধান শক্তি।
তিনি বলেন, কোনো অসম চুক্তি রিভিউ করার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি। আমরা দেখছি যে, যারা আন্দোলন করেছে, তারা ১৬ ডিসেম্বর মানে না- এর দায় কাদের? নারী সংস্কার কমিশন মানে না- এর দায় কাদের? একদিকে আমরা যেমন আশাবাদী হয়ে উঠছি, অন্যদিকে আবার আশঙ্কাও দেখছি। যে কোন সংস্কারের বটম লাইন হবে- স্বাধীনতা। ’৭১ কে ধরেই সব ধরণের সংস্কার হতে হবে।
সেমিনারে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, যে দেশে প্রশ্ন করার জন্যে সাংবাদিকদের চাকরি যায়, সেখানে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস! গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র হবে?- এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে স্বাধীনতার সীমা নির্ধারণ করা উচিত। প্রত্যেকের জবাবদিহিতা দরকার। গণমাধ্যম কতিপয় গোষ্ঠীর মালিকানার মাধ্যমে তাদের সেবা করার চর্চায় পরিণত হয়েছে। গণমাধ্যমের মালিকানার ক্ষেত্রে নীতিমালা দরকার, যেন একচেটিয়া মালিকানা না গড়ে উঠে। এমন কোন নীতিমালা থাকা যাবে না-যা গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরে। ভয়হীন সমাজ তৈরি করতে চাই। রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না- যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে। সাংবাদিকদের এথিক্যাল জার্নালিজমের জন্যে নীতিমালা থাকা উচিত। মব আক্রমণ চলছে। ভয়ের চোটে চাকরি চলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র যদি মব আন্দোলন বন্ধ করতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকে না।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত চলমান এ সেমিনারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।