শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

গভীর রাতে মহাসড়কে নাটকীয় ঘটনা : ডাকাতি-দুর্ঘটনা-খুন-গণপিটুনি-মৃত্যু

গাজীপুর প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজীপুরের মহাসড়কে এক ভয়াবহ ও নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেছে, যা ডাকাতি থেকে শুরু হয়ে দুর্ঘটনা, খুন, গণপিটুনি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুতে গিয়ে শেষ হয়েছে।

গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা-সাতখামাইর-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজার মাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নিহতের একজন ডাকাতদলের সদস্য, আরেকজন একটি সিএনজি অটোরিকশা চালক।

ডাকাতদলের নিহত সদস্যের নাম মো. আরিফ হোসেন (২২)। তিনি কুমিল্লা জেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে। আর নিহত সিএনজিচালকের নাম আবুল কালাম (৪০)। তিনি শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি ওই সড়ক হয়ে মাওনা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন।

ডাকাতির শিকার মো. শফিকুল ইসলাম নামে এক পিকআপ চালক জানান, তিনি শ্রীপুরের এমসি বাজার থেকে পিকআপ নিয়ে বরমীর দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ৩টার দিকে সাতখামাইর বাজারের কাছে মাজার এলাকায় পৌঁছালে সড়কে গাছ ফেলে ৬-৭ জনের ডাকাত দল তার গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে যায় ডাকাত দল। একই সময় ওই সড়কে অন্যান্য গাড়ি থেকেও ডাকাতি চলছিল। এ সময় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কায় ডাকাত দলের এক সদস্য আহত হন।

শফিকুল ইসলাম জানান, এতে ডাকাতদলের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ডাকাতের কবলে পড়া ভুক্তভোগীরা মিলে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ঘটনাটি প্রতিরোধ করে। দুর্ঘটায় আহত ডাকাত সদস্যকে ধরে ফেলে তাকে গণপিটুনিও দেওয়া হয়। পরে ওই ডাকাতের মৃত্যু হয়।

এদিকে ডাকাতদলের হামলার শিকার অটোরিকশাচালক আবুল কালামকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের টহল টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করে। পরে আহত ডাকাত সদস্য ও অটোরকিশাচালককে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করে ও আবুল কালামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে অটোরিকশাচালক আবুল কালাম মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।