বিশেষ প্রতিনিধি : গাজীপুর আইনজীবি সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হয়ে গেলে গত ২৯মে । নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদে জামায়াত সমর্থিত সবুজ প্যানেল জয়ী হলে আদালতপাড়াসহ ঘটনাটি ’টক অব দ্যা গাজীপুর’ এ পরিণত হয়। গাজীপুর বাইরে জাতীয় পর্যায়ে এবং ভার্চুয়াল জগতে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরও গাজীপুরে নিজ দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে সামনে এনে বিভিন্ন প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। শীর্ষ দুটি পদে বিএনপির এ পরাজয়ে অনেকেই দলীয় কোন্দল, নিজ দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মী-সমর্থকদের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কর্ম স্থবিরতা, দীর্ঘদিন যাবত মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেয়া, আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন।
অনেকে আবার এটাকে পতিত আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করে জামায়াতের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন।
তবে জামায়াতের ভাষ্য, ৫ আগস্টের পরে মানুষ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নেতাকর্মীদের কার্যক্রম ও চরিত্র বিচার বিশ্লেষণ করছে । আগামী দিনের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে কারা দেশের গণমানুষের কল্যাণে কাজ করবে তা তারা বুঝে গেছেন । তাই দেশের আগামী নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীকেই দেশের মানুষ চাচ্ছে তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচন।
তবে নিজেদের মধ্যে বিবাদ, দলাদলি ও নগ্ন গ্রুপিং জিইয়ে রেখে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার ক্ষেত্রে বিএনপির জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন অনেকেই। গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসন তথা সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৬টি পদের মধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৫টি পদে জামায়াত–সমর্থিত সবুজ প্যানেলের সদস্যরা জয়ী হন।
জামায়াত–সমর্থিত সবুজ প্যানেল থেকে বিজয়ীরা হলেন-সভাপতি পদে শামসুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (কামাল) ও সহসাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন আকবরী। এ ছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রহিম ও মাহদী হাসান।
অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ–সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষসহ ১১টি পদে জয়লাভ করেছেন। জয়ী প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি পদে আবদুল হামিদ, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, লাইব্রেরি সম্পাদক কামরুল হাসান রাসেল, অডিটর পদে রবিউল আলম, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন সালাহ্ উদ্দিন খান ও মহিলা সম্পাদিকা আজিজা আক্তার। এ ছাড়া সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ রায়হান কাউসার, আশিকুর রহমান, কামরুল হাসান, ফাতেমা খান ও শ্যামল সরকার।
গাজীপুর বারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুলতান উদ্দিন বৃহস্পিতবার রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯০ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫ জন ভোট দিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহামদ টুকু গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনের ফলাফলে ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটা একটি বিরল ঘটনা। এর জন্য বিএনপি’র অযোগ্য নেতৃত্ব, ক্ষমতায় না আসতেই দাম্ভিকতা, অহংকার, দলের ত্যাগী ও দুঃসময়ের নিবেদিত কর্মীদের মূল্যায়ন না করা, সর্বোপরি সর্বক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য, লুটপাট নিজেদের মধ্যে নগ্ন গ্রুপিং। মাত্র ২,৪০০ আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সম্ভবত ১৩০০ থেকে ১৪০০ ভোট কাস্ট হয়েছে । এই ছোট্ট একটা বারের নির্বাচন আমরা সামাল দিতে পারি না, আগামী জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-২ এবং বিভিন্ন আসন কিভাবে আমরা সামাল দিব। এটা সবার জন্যই একটি সতর্কবার্তা। যেখানে এই ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলেও নির্বাচন করে বিএনপি জয়লাভ করেছে আর আজকে এই চরম ভরাডুবি শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও নগ্ন গ্রুপিং এর জন্য। অবশ্যই দায়িত্বশীল যারা আছে তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিএনপির হাইকমান্ডকে অবশ্যই গাজীপুরের ব্যাপারে আলাদা নজর দিতে হবে, না হলে সামনে সবার জন্যই অশনি সংকেত বিরাজ করছে।
এবিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক প্রকাশনা সম্পাদক মো. আজিজুল হক রাজু মাস্টার বলেন, গাজীপুর একটি বড় মহানগর। এখানে প্রায় ৪০লাখ লোক বসবাস করেন।১২-১৩ লক্ষ ভোটার রয়েছেন এ মহানগরীতে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগরে দীর্ঘদিন যাবত বিএনপির কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাই । গত ২০২৩ সালের ১১জুন দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি মৌখিক কমিটি দিয়েছিল, অদ্যবধি কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হয়নি । এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে । গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে পরাজয়ে বিষয়ে তিনি বলেন, একটি নির্বাচনী বৈতরণী কিভাবে পার করতে হবে তা নিয়ে কেউ দেখভাল করেনি, পরিচর্যা করেনি। অনভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে মহানগর বিএনপির কমিটি দেওয়ায় তারা কিছু করতে পারেনি। অভিজ্ঞ, দক্ষ, যোগ্য ও সিনিয়র লোকজন যদি কমিটিতে থাকতো তাহলে এই ধরণের নির্বাচন যেমন-বার কাউন্সিল নির্বাচন, প্রেসক্লাবের নির্বাচন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, সিটি নির্বাচন, পৌর নির্বাচনগুলো মেক্যানিজম করতে হয়। বর্তমান গাজীপুর মহানগর বিএনপির কমিটি সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, অযোগ্য ও অদক্ষ থাকার কারণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবিরা পরাজয় বরণ করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন বলেন, গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে আইনজীবিদের মধ্যে গ্রুপিং, অযোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন, আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশ জামায়াতের সাথে লিয়াঁজো এবং গাজীপুর মহানগর বিএনপি নির্বাচনকে ঠিকমতো নার্সিং করতে পারেনি। তিনি মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা দুজনই হলেন বর্তমানে গাজীপুর মহানগর বিএনপির নীতিনির্ধারক। কোনো কাজে তারা মহানগরের সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নেন না, সিনিয়র নেতাদের তারা অবজ্ঞা করে চলেছেন। কাউকে তারা ডাকেন না, কারো সাথে পরামর্শ করেন না, তারা নিজেরাই সবকিছুর নীতিনির্ধারক।
দলীয় কোন্দল, দলাদলি ও এধরণের ফলাফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে বশির উদ্দিন যোগ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। কারণ হলো- দলীয় গ্রুপিং, মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কেউ পরিচয় দিতে পারেন না । সবাইকে সাবেক পরিচয় দিয়ে চলতে হয়। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এব্যাপারে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি মো. আফজাল হোসাইন বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের মানুষ দুইটা দলের নেতাকর্মীদের চরিত্রই খুব কাছ থেকে দেখছেন। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের কার্যকলাপও মানুষ দেখছে এবং বিএনপি ও অন্যদলের নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডও জনগণ খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করছেন। এখন তারা তুলনা করার সুযোগ পেয়েছেন-আসলে কারা ভালো, কারা দেশের জন্য উত্তম নেতৃত্ব দিতে পারবেন। কারা সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারবেন।এইজন্য আইনজীবি সমিতির নির্বাচনের বিজয়টা আমরা মনে করি যে, দেশের উন্নয়নের জন্যই মানুষ পরিবর্তনটা চিন্তা করছে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দেশের জনগণ বলছেন যে, আমরা তো সব দলের শাসন দেখেছি-মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণ যেসব জায়গায় দেখেছেন, বর্তমানে একটি দল ওই জায়গা দখল করেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের মতো নিজেদেরকে গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসিয়ে দেয়নি । তারা তাদের নিজেদের আদর্শ, দেশের সম্পদের আমানতদারি রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা করতেও জামায়াতে ইসলামী সামর্থ্য হয়েছে । জামায়াতের সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন যেমন-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, নিজের হাতে আইন তুলে না নেওয়া-এই বিষয়গুলো জামায়াতের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা গ্রহণ করেছেন । কিন্তু আমাদের যারা বন্ধু সংগঠন বা অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী, তারা এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই কারণে সাধারণ মানুষের সমর্থন এখন জামায়াতের দিকে। ইনশাআল্লাহ, জাতীয় নির্বাচনেও আমরা ভালো ফলাফল প্রত্যাশা করছি। দেশের সাধারণ জনগণ জামায়াতকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আশা করি, আগামী দিনে জামায়াত দেশে সরকার গঠন করবে।
গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবিদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টা এমন নয়। সাধারণ আইনজীবি যারা তারাই আমাদের সমর্থন করেছেন । যারা সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, তারাই জামায়াতকে সমর্থন করেছেন। যারা এসমাজের ভদ্র, তারা আমাদেরকে সমর্থন করেছেন। যারা এখানে আইন অঙ্গনটা ভালো হোক, কলুষিত না হোক। এখানে দলীয় প্রভাবে কোনো কিছু না হোক- এই জিনিসটা যারা চেয়েছে, তারাই জামায়াতকে সমর্থন করেছেন-এটাই হচ্ছে জামায়াতের চমক। তিনি আরও বলেন, অপপ্রচার তো জামায়াতের বিরুদ্ধে অতীতেও ছিল, এখনও আছে। যারা হেরে গেছে তা তো অপপ্রচার করছেই। সেটা হচ্ছে অপপ্রচার। আর যারা শান্তিকামী, তারা জামায়াতকে সমর্থন করে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ মাজহারুল আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের স্বচ্ছ রাজনীতি ও আগামী দিনগুলো মোকাবেলা করার জন্য যে বার্তাগুলো দিচ্ছেন সেগুলো অনেক দলীয় নেতাকর্মীরা আমলে নিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুর মহানগরে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নাই । দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। এর ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোক রয়েছেন যারা পদহীনভাবে আছেন । এটারও একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও আইনজীবি সমিতির প্যানেল পরিচিতির সময় ওই দুইজন (নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ) নেতাকে নিয়েই করিয়েছেন । গাজীপুরের সিনিয়র কোনো নেতাকে ডাকা হয়নি বা কারো সাথে পরামর্শও করা হয়নি। এটাও আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে একটা প্রভাব পড়তে পারে বলেও তিনি মনে করছেন।
গাজীপুর আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবিদের ভোট টেনেছে এমন প্রশ্নের জবাবে ডাঃ মাজহারুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবিরা তো কখনও বিএনপির প্রার্থীদের সমর্থন করবে না। ওরা তো সারাজীবনই বিএনপির এগেইনিস্টে ভোট দেয়। তারপরও তো এখানে বিএনপি ভালো রেজাল্ট করে, পাশ করে। তাছাড়া জামায়াতের এখানে মাত্র ৪০-৫০টা ভোট। এই অল্প সংখ্যক ভোট নিয়ে তারা বিএনপির মতো একটি আইনজীবি সমিতির প্রার্থীদের হারিয়েছে। এছাড়াও ৫ আগস্টের পর কেন্দ্রীয় আইনজীবি ফোরাম গাজীপুরে আইনজীবিদের যে কমিটি গঠন করে দিয়ে গেছেন, সেখানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ও সিনিয়র আইনজীবিদের সাথে পরামর্শ করা হয়নি। তবে সিনিয়রদের সাথে পরামর্শ করে কমিটি দেওয়া উচিত ছিল।এখানেও একটা ব্যাপার রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উচিত তারেক রহমানের বর্তমান বক্তব্যগুলোকে অনুসরণ করলেই বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব।