শাহানাজ পাটোয়ারি, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক)’র যান্ত্রিক, পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাককে নিয়ে একটি চক্র অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সুদীপ বসাক ২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যান্ত্রিক শাখায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরি জীবন শুরু করেন। ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর তাঁর চাকরি নিয়মিতকরণ করা হয়। অত:পর সততা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে
প্রশাসনিক প্রয়োজনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২৩ মার্চ তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বদলি হয়ে আসেন। এখানে যোগদানের পর থেকেই দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থান নেন তিনি। সরকারি বিধিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করে ঘুষ বাণিজ্য, নিম্নমানের কাজ ও স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ রাখেননি। এতে একটি অসাধু চক্র প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার শুরু করে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে যোগদানের পর তিনি যান্ত্রিক বিভাগকে ডিজিটালাইজ করেন। তেল ইস্যু থেকে শুরু করে গাড়ি মেরামত পর্যন্ত সব কার্যক্রম সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নেন। পানি বিভাগকে লোকসান থেকে মুনাফায় উন্নীত করেন। তার ব্যবস্থাপনায় অকেজো যানবাহন নিলামে বিক্রি করা এবং ২৪ ঘণ্টা ওয়াকি-টকির মাধ্যমে গাড়ি সেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। এসব ভাল ভাল কাজ করার কারণে তিনি কিছু স্বার্থান্বেষীর চক্ষুশুল হন।
যান্ত্রিক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকরাম হোসেন খান, পানি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইব্রাহিম খলিল ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন যৌথ বিবৃতিতে জানান, সুদীপ বসাক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভাগে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে জ্বালানি ও যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ হয়েছে, অকেজো যানবাহন নিলাম করা সম্ভব হয়েছে, প্লান্ট সচল হয়েছে এবং বিভাগে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে অনেকেই বলেন, সুদীপ বসাক সবসময় সহযোগিতা করেন এবং কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পরিচয় দেন। কর্মচারীরাও জানান, তিনি প্রতিটি কাজে নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দেন এবং কোনো ধরনের অনিয়মে ছাড় দেন না।
নিজস্ব প্রতিক্রিয়ায় সুদীপ বসাক বলেন, আমি সবসময় সরকারি নিয়মনীতি ও অফিসের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করেছি। সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। যান্ত্রিক বিভাগকে ডিজিটালাইজ করেছি, পানি বিভাগকে লোকসান থেকে মুনাফায় উন্নীত করেছি। এসব কাজের কারণেই কিছু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছি।
সুধীজন মনে করেন, সৎ, দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে তাঁরা বলেন- গণমাধ্যমে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ পরিবেশন কোনোভাবেই কাম্য নয়; বরং যারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের সেবা করছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে শ্রেয়।