ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নলডাঙ্গা পোষ্ট অফিস(৭৩৫০) সংস্কারের নামে বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে পোষ্ট অফিসে সেবা দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ই পড়েছেন চরম বিপাকে। জরাজীর্ণ একতলা ভবন ও বন জংগলে ঘেরা আফিস দেখে বাইরের থেকে বোঝার উপায় নেই যে এটিই নলডঙ্গা পোষ্ট অফিস। যেখানে নিত্যদিনের কার্যক্রম চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে । অরক্ষিত, নিরাপত্তাহীনতা ও নিন্মমানের গ্রাহক সেবা দিয়ে কোনোভাবে পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবা প্রত্যাশীরা । সরকারী এই দপ্তরে আর্থিক ও ডাক দ্রব্যাদি লেনদেনের জন্য প্রায় শতাধিক লোক প্রতিনিয়ত সেবা নিতে আসেন। বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষার খাতা, চিঠি পত্র, পার্সেল, মোবাইন মানি অর্ডার ইস্যু-বিলি এবং স্মার্ট কার্যক্রম পোস্ট অফিসটিতে চলমান রয়েছে।
এখানে কর্মকত ৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংস্কার অসম্পূর্ণ তিনটি ছোটো কক্ষে বসে সেবা প্রদান করছেন। কক্ষ তিনটির বেশ কয়েকটি জানালায় গ্রিল লাগানো থাকলেও নেই কোন গ্লাস বা কাঠের পাল্লা। যার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাহীনভাবে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে চুরির ঘটনা। অফিসটিতে নিয়মিত উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করলেও সংস্কার কাজ শেষ করে সেবার মান বাড়ানোর ব্যাপারে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি তাদের। নলডাঙ্গা পোষ্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সোহেল রানা জানান, আমি আমার অফিসের চিঠি পোস্ট করতে এসেছি, কিন্তু একটি সরকারি আফিসের পরিবেশ এতটা নোংরা হয় তা ভাবা যায়না। এটা যে পোস্ট অফিস তা চেনার কোনো উপায় নেই। এমনকি একটা সাইনবোর্ডও নাই। সংস্কার কাজের সার্বিক বিষয়ে জানতে ঠিকাদার তাজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নলডাঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, আমি চার মাস আগে এই অফিসে যোগদান করেছি। শুরু থেকে এই বেহাল দশা দেখছি। ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আমাদের কাজ করতে হয়। শুধু তাই না, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো সংরক্ষনের জন্য নাইটগার্ড এর মতো আমাদের পাহারা দিতে হয়।
যশোর ডেপুটি পোস্ট মাষ্টার (জেনারেল) মাজহারুল ইসলাম বলেন, পোস্ট অফিসে সংস্কার কাজগুলো জরাজীর্ণ প্রকল্পের আওতাধীন। আর সারা দেশে পোস্ট অফিস সংস্কারের এই কাজগুলো ঢাকা ডাক অধিদপ্তর থেকে দেখভাল করা হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় কাজগুলো শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুতই ঊর্ধ্ব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে অসম্পূর্ণ থাকা সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।