মুক্তবাণী অনলাইন :
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে ‘ওয়ান স্টপ সলিউশন’ কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে একটি অ্যাপ চালুর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় জুলাই ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সভায় জুলাই ফাউন্ডেশনের গত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন, অডিট কমিটি পুনর্গঠন, নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গভর্নিং বডির সভা শেষে জুলাই ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ে শহিদ পরিবার ও আহতের সুচিকিৎসা, পুর্নবাসন, আইনি সহায়তা, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে একটি “ওয়ান স্টপ সেন্টার” হিসেবে কাজ করবে জুলাই ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের সকল সেবা সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে একটি অ্যাপ তৈরি করা যেতে পারে। সেখানে ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কার্যক্রমের আপডেট থাকবে। সব ধরনের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকবে। কেউ অনুদান দিতে চাইলে সেটাও অ্যাপের মধ্য দিয়ে সহজে করতে পারবে এমন ব্যবস্থা থাকবে।’
শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সারাদেশের জেলা, উপজেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে যারা শহিদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাঁদের জীবনের গল্পগুলো তুলে আনতে হবে। তাঁরা যাতে আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে না যায়। শহিদ ও আহতদের মধ্যে যেমন তরুণ শিক্ষার্থীরা আছেন, তেমনই রিকশাচালক, শ্রমিকরাও আছেন। তাঁদের জীবনের গল্প সামনে আনতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহতদের কারো জীবনে বিশেষ অর্জন, বিশেষ দিনে তাঁদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে যাতে করে নিজেদের মধ্যে দুরত্ব তৈরি না হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যারা আহত তাঁরা যেন নায্য সম্মান পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অসম্মান থেকে তাঁদেরকে বাঁচাতে হবে।’
যেসকল চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের ব্যক্তিবর্গ নিস্বার্থে জুলাই আহত ও শহীদের জন্য কাজ করেছেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে ধন্যবাদপত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
একইসঙ্গে একটি ফাইন্যান্স কমিটি গঠন করে ফাউন্ডেশনের আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
গতকালকের সভায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের নতুন প্রধান নির্বাহী হিসেবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসী আরা জামান, মেডিকেল এক্সিকিউটিভ হিসেবে ড. ফাতেমা তুজ জোহরা জ্যোতি এবং লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে মোস্তাফিজ রহমান মুকুলকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শহিদ পরিবারের সদস্য, সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) এখন থেকে ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসএসএইচ.