রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

টঙ্গীতে জলাবদ্ধতা নিরসণে ড্রেন উদ্ধারে গাসিকের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গাজীপুরের টঙ্গীতে গাজীপুরা বাশপট্টি এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেন ভরাট করণের সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন ও প্রতিবন্ধকতা নিরসণে উদ্ধার অভিযান করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন।

গতকাল (৩ জুন) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী জোনের (১) নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ আশরাফ হোসেন জানান, ২০০৫-২০০৬ সালে ইউসেপ থেকে নির্মিত টঙ্গী অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে গাজীপুরা বাশপট্টি এলাকায় নির্মিত ড্রেন কিছু দুষ্কৃতিকারীরা তাদের নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধারে ড্রেনটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে।

এই ড্রেনটি দখল করে রাস্তা নির্মাণের ফলে টঙ্গীর বিভিন্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগকে পরিণত হয়েছে। অবৈধ দখলদার থেকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আজকের এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকের মধ্যেই আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করবো এবং অবৈধ দখলদার এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা, অবৈধ ভাবে ড্রেনটি বন্ধ করার কারণে হালকা বৃষ্টিতে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানি বন্ধি। এলাকার প্রায় প্রতিটি রোডে আর্টুর সমান পানি জমে আছে।ড্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া কারণে পয়নিষ্কাশনের পানি যেতে বাধা সৃষ্টি হতো। এতে পথচারী, স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম কষ্টে চলাফেরা করতে হচ্ছে।

উদ্ধার অভিযানের সময় এলাকাবাসী জানান, ড্রেনটি অবৈধভাবে বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণের পর কিছু্ ফ্লাট ব্যবসায়ীরা রমরমা ফ্লাট ব্যবসা করে যাচ্ছেন। অপরদিকে পানি বন্ধ হয়ে আছেন কয়েক হাজার মানুষ।গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আজ এই ড্রেন অপরসারণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, ধাঁন সিড়ি, রুপসী বাংলা, আরাফ টাওয়ার, হেভেন টাওয়ার, বারাকা টাওয়ার, পাঞ্জেরি টাওয়ার, মিল্লাত মেঘা সিটি নামে এরকম অসংখ্য ডেভলপার কোম্পানি তারা বিল্ডিং নির্মাণ করছেন।

রাস্তায় চলাচলকারী অটো রিক্সা চালকরা জানান, কয়েক দিনের জমে থাকা পানির জন্য আমরা কষ্টে আছি। এবং আমাদের রিক্সার মোটর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের কয়েক জনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন তারা। সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।