রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

টঙ্গীতে প্রতিবন্ধী নারী হত্যা: মূল আসামি গ্রেফতার

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি :

টঙ্গীতে শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধী নারী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামীকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর জেলা পিবিআই।

সোমবার (২৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন সাইফুল ইসলাম @ উজ্জল (২৮)। তিনি ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানার নিন্দারাবাদ এলাকার মোঃ আঃ মান্নানের ছেলে এবং অপর আসামী হলেন সাদিয়া আক্তার (১৯)। তিনি ব্রাহ্মবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানার নিন্দারাবাদ এলাকার মৃত স্বপন গাজীর মেয়ে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। তারা টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার গোলাম মোস্তফার ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম উজ্জল একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে এবং সে অনলাইন আইপিএল জুয়ায় আসক্ত। তার দুই মাসের বাড়ি ভাড়া বাকী থাকায় স্ত্রী সাদিয়া আক্তার এর সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম উজ্জল রাবেয়া সাবরিন লিখনের মাসিক বেতন/বোনাস পাওয়ার খবর জানতে পেরে ঐ টাকা চুরির পরিকল্পনা করে। তারই প্রেক্ষিতে গত ১৯ মে সকাল অনুমান ০৬:১০ মিনিটে লুকিয়ে লিখনের রুমে ঢুকে ১নং আসামী লিখনের মুখ পেছন দিক থেকে চেপে ধরে বিছানায় উপুড় করে শুইয়ে তার পিঠে চেপে বসে মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে। ২নং আসামী সাদিয়া লিখনের পা বেঁধে ফেলে। লিখন নড়াচড়া না করলে ২নং আসামী সাদিয়া আক্তার তার নিজ রুমে চলে আসে এবং ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম উজ্জল লিখনের ব্যাগ থেকে ১,২৫০/- টাকা ও পূর্বে চুরিকৃত মোবাইলের বাক্স ও ২ কেজি চাল নিয়ে আসে। আসার সময় বাহির থেকে রুমের দরজার ছিটকিনি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ১নং আসামী উক্ত টাকা তার স্ত্রী ২নং আসামী সাদিয়া আক্তার এর নিকট রেখে যথারীতি তার অফিসে চলে যায়।

এ বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামীদ্বয় হত্যা কান্ডের ঘটনায় নিজেদের জড়িয়ে নিজেদের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামীদের আজ সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীপূর্ব থানাধীন উত্তর আরিচপুর গাজীবাড়ী পুকুর পাড় এলাকায় গোলাম মোস্তফার বাড়ীর ২য় তলায় ভাড়া বাসায় হাত-পা বাধা অবস্থায় বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধী রাবেয়া সাবরিন লিখনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লিখন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে শরীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট মৈত্রিশিল্পে কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।