শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

তাইজুলের ফাইফার, শ্রীলংকা অলআউট

ক্রীড়া প্রতিবেদক : রানের পাহাড়ে চাপা পড়ার শঙ্কা নিয়ে তৃতীয় দিনে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে তাইজুল ইসলামের কল্যাণে অন্তত রানের পাহাড়ে চাপা পড়ল না সফরকারীরা। তাইজুল তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কা তাতে অলআউট হয়ে গেছে ৪৫৮ রান তুলে। ২১১ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে স্বাগতিকরা।

দ্বিতীয় দিন শেষে কুশল মেন্ডিস এসে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, যা রান করা প্রয়োজন শ্রীলংকার, সেটা তারা আজই করে নিতে চায়। কলম্বোয় পঞ্চম দিনে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটা বেশ কঠিন, সে ভাবনা থেকেই এই কৌশল ছিল শ্রীলংকার।

২ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানে দাঁড়িয়ে থেকে সে ভাবনাটাকে অমূলকও মনে হচ্ছিল না। তবে সে কৌশলে বাধ সেধেছে বাংলাদেশ। সকালের সেশনেই তুলে নিয়েছে ৪টি উইকেট। যদিও তাতে শ্রীলঙ্কার রানে বাধ দেওয়া যায়নি। ২৫ ওভারের এই সেশনে স্বাগতিকরা ওভারপ্রতি ৪.৪৪ করে রান করে তুলে ফেলেছে ১১১ রান।

নিসাঙ্কা আগের দিনে সেঞ্চুরি করে আজ সকালে অপেক্ষায় ছিলেন ১৫০ এর। তা পেয়ে গেলেও তিনি ইনিংসটা বেশি বড় করতে পারেননি। ১৫৮ রানে তাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম। নিজের পরের ওভারে তাইজুল সাজঘরের পথ দেখান লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও।

‘নাইটওয়াচম্যান’ প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে এরপর ফেরান নাহিদ রানা। লাঞ্চের কিছু আগে আগে কামিন্দু মেন্ডিসকে আউট করেন নাঈম হাসান। তার আগে একবার বল স্টাম্পে লাগলেও আউট হননি কামিন্দু। তবে তার ইনিংসটাকে বেশি লম্বা হতে দেননি নাঈম। আর তাতেই কিছুটা স্বস্তি আর আশা নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

এবার দ্বিতীয় সেশনের শুরুটাও দারুণভাবে করে সফরকারীরা। ২ উইকেট তুলে নেয় সেশনের শুরুতেই। সেশনের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন নাঈম। তার মুখোমুখি হন অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা। ১৬ বলে ১১ রান করা দিনুশাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নাঈম।

এরপর তাইজুল আবার আসেন দৃশ্যপটে। তিনি শিকার করেন থারিন্দু রত্নায়েকের উইকেট। তবে তাতে অবশ্য থারিন্দুর ‘দোষ’ই বেশি। তাইজুলের বলে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি তা পারেননি। ক্যাচ দিয়েছেন বাউন্ডারি লাইনে থাকা এনামুল হক বিজয়ের হাতে। আউট হয়েছেন ২০ বলে ১০ রান করে।

ওপাশে অবশ্য কুশল মেন্ডিস এগোচ্ছিলেন ভালোভাবেই। ফিফটির অপেক্ষায় থেকে সেশন শেষ করেছিলেন। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে তিনি ফিফটির দেখা পেয়ে যান। এরপর দ্রুত ব্যাট চালিয়ে এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকেও। তবে তিনি শেষমেশ সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। ৮৭ বলে ৮৪ রান করে তিনি রান আউটে কাটা পড়েন। তার বিদায়ের পর লংকান ইনিংস আর টিকেছে মোটে ৩ বল। তাইজুল আসিথা ফার্নান্দোকে আউট করে মুড়ে দেন স্বাগতিকদের লেজ। ৪৫৮ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।