বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৭ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

দুই বিচারকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি : এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি চোর, উদ্ধার হয়নি টাকা স্বর্ণালঙ্কার

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা শহরে দুই বিচারকের বাসায় চাঞ্চল্যকর চরির ঘটনার মাস পার হলেও এখনো ধরা পড়েনি চোর এবং উদ্বার হয়নি চুরি হওয়া প্রায় নয় লক্ষ সাতত্রিশ হাজার পাঁচশত টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার। আর এ দুর্র্ধষ চুরির ঘটনাটি ঘটে খাগড়াছড়ি শহরের তালুকদারপাড়া এলাকায় অবস্থিত একটি বহুতল ভবনে দুই অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের বাসায়। ফলে ঘটনাটি খাগড়াছড়ি জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত)মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ ও তার স্ত্রী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শায়লা শারমিন (দ্বিতীয় আদালত) দু’জনেই পরিবারসহ খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন তালুকদারপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়াটিয়া।
ঘটনার দিন সকালে দুই জনের আদালতে চলে যান। পরে সকাল ১১টার দিকে তাদের সন্তান আহিয়ান দরজায় তালা লাগিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলে যায়।
বিকেলে বিচারক দম্পতি বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা ও ঘরের কাগজপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে। পরে দেখা যায়, স্টিলের আলমারি ভেঙে সেখান থেকে বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার চুরি করা হয়েছে। চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে ছিল স্বর্ণের চুড়ি ২টি (২ ভরি), গলার চেইন ২টি (১ ভরি) কানের দুল ১ জোড়া (৮ আনা), গলার লকেট ১টি (৮ আনা), ছোট কানের দুল ৬ জোড়া (১.৫ ভরি) বড় আংটি ১টি (৮ আনা), ছোট আংটি ১টি (৪ আনা) মোট চুরির পরিমাণ আনুমানিক ৯,৩৭,৫০০ (নয় লক্ষ সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা।
এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনবাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত চুরি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটের মধ্যে চোরেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধীদের সনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ,খাগড়াছড়ি শহরে একটি চিহিৃত কিশোর গ্যাং-এর উৎপাত দীর্ঘ দিনের। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাদের আইনের আওতায় আনতে না পারায় শুধু বাসায় বাড়ী নয়,রাস্তা-ঘাতে প্রায়ই ঘটছে নানা অপরাধ।