বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১১ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

নিরাপত্তা বলয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্তিতে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি করা হয়েছে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায়। সেখানে ৩৬ জুলাই মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। চলছে দিনব্যাপী নানা আয়োজন। এ মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করা হবে “জুলাই ঘোষণাপত্র”। উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্যান্য উপদেষ্টারা।

উপস্থিত থাকবেন বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। একইসাথে উপস্থিত থাকবেন পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এবং সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা।

দিনব্যাপী আয়োজনে থাকছে আলোচনা, স্মৃতিচারণ, দেশাত্ববোধক গান, কবিতা পাঠ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, ড্রোন শো ও সবশেষ দেশ বরেণ্য শিল্পীদের গান পরিবেশনা।

এসব আয়োজন ঘিরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকা নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনী। রয়েছে নিজস্ব নিরাপত্তা বলয়ও। তারা অন্যান্য শৃঙ্খলার কাজগুলো করছে।

অনুষ্ঠানে আগতদের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়েই প্রবেশ করতে হচ্ছে। আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। ব্যাগ থাকলে সেটি তল্লাশি করা হচ্ছে। লাইটার, ম্যাচ, ছুরি, কাচি সবকিছু ওই এলাকায় প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ সবখানে অবস্থান নিয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ অবস্থান করছে। রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। অনুষ্ঠান স্থলের আশেপাশে পুলিশের পেট্টোল টিম কাজ করছে। রয়েছে র‌্যাবের ডগস্কোয়াড টিম। সোয়াত, ডিবি পুলিশ ও ডিবির ডগ স্কোয়াডও অনুষ্ঠান স্থলের পাশে অবস্থান করছে। আনা হয়েছে এপিসি ও রায়টকার। সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছুক্ষণ পরপর মঞ্চের চারদিক প্রদক্ষিণ করছে। এছাড়া পুরো মঞ্চের দায়িত্ব নিয়েছে এসএসএফ।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) নজরুল ইসলাম বলেন, জুলাই ঘোষণা পত্র পাঠ অনুষ্ঠান ঘিরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। কোনো ধরণের আশঙ্কা না থাকলেও আমরা নিরাপত্তার কাজটুকুই করেছি। পুলিশের যা কাজ তাই করেছে। সামান্যতম ত্রুটি টুকুও রাখা হয়নি। আড়ং মোড়ে ও খামারবাড়ি মোড়ে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ দিয়ে আপাতত কোনো গাড়ি চলছে না। এসব এলাকাতেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ রয়েছে। এ ধরণের একটি জাতীয় অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশের মুল কাজ। আমরা সেটিই করেছি।

পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও আশপাশের এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। বাইরে মুল কাজটি পুলিশ করলেও সেনা সদস্যরা সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। যাতে কেউ কোনো বিশৃ্ঙ্খলার সৃষ্টি করতে না পারে।

অনুষ্ঠান শেষ হবে রাত ৮টায়।