অনলাইন ডেস্ক :
দেশের একমাত্র চারদেশীয় (বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভূটান) স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা দিয়ে প্রতিবেশ দেশ নেপালে গেল ৩৯৯ মেট্রিক টন আলু। এ বন্দর দিয়ে মোট ৫৫০২ মেট্রিক টন আলু নেপালে রফতানি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থলবন্দরটিতে ৯৫ শতাংশই পাথর নির্ভর হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি হচ্ছে ভারত ও নেপালে।
মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও,দিনাজপুর ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাল মানের আলো সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিরিক্ষার করে পরবর্তীতে নেপালে রফতানি করা হচ্ছে। থিংকস টু সাপ্লাই, হুসেন এন্টার প্রাইজ, স্বাধীন এন্টার প্রাইজ ও ক্যারোস এগ্রো কনসার্ন অব এম আর জে এন গ্রুপ বেশ কিছু রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এ আলু নেপালে রফতানি করছে৷ তবে নতুন করে আরও দুটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান যোগ হয়েছে। সেগুলো হলো ঈশান এগ্রো ফার্ম ও হাবিব ইন্টারন্যাশনাল।
এ বন্দর দিয়ে আলু নিয়মিত রপ্তানি হতে থাকলে বাংলাদেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন ও দেশের কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের আলুর দাম পাবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, চতুর্দেশীয় এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৯৯ মেট্রিক টন আলু নেপালে যাচ্ছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মেট্রিক টন পাথর আমদানি হচ্ছে। প্রায় ১০ একর জায়গার ওপর গড়ে ওঠে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি।