রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৫ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পহেলা বৈশাখে শাহবাগ ও ঢাবি মেট্রো স্টেশন বেলা ১২টা পর্যন্ত বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের জন্য ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আজ সোমবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং শাহবাগ মেট্রো স্টেশন দুটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্তটি জননিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে নববর্ষ উদযাপনের স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে এবং সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে।

এর আগে, ঢাবি কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, পহেলা বৈশাখে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর মধ্যে ঢাবি এবং শাহবাগ স্টেশনগুলোতে কোনো বিরতি থাকবে না। তবে ১৪ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই দুটি স্টেশন বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও প্রবেশের কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বিকাল ৫টার পর থেকে বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এই বছর পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুধু একটি সাংস্কৃতিক উৎসব নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিবাদেরও প্রতীক হবে। বাঙালির ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির রক্ষার্থে এবার উৎসবে মানুষের প্রতিবাদ ও সংগ্রাম প্রতিফলিত হবে।” এছাড়া, এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন ২৮টি জাতিগোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা বাঙালি ঐক্য এবং জাতীয় সংস্কৃতির শক্তিশালী প্রদর্শন হবে।

এছাড়া, ঢাবির চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ জানান, এবারের শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রার পরিবর্তে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে। এই শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য হবে “নববর্ষের ঐক্যতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”।

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুসারে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও, দুপুর ১২টার পর থেকে এই স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া হবে, এবং সাধারণ জনগণ মেট্রোরেল ব্যবহারের সুযোগ পাবে। তবে, নিরাপত্তার কারণে এই সময়ের মধ্যে মেট্রো স্টেশনগুলোতে সাধারণ প্রবেশাধিকার থাকবে না।

ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চায় যে, পহেলা বৈশাখের উৎসব যাতে নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদভাবে উদযাপিত হয়, সেজন্য তাদের পক্ষ থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এই সাময়িক অসুবিধার জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আবারও আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং সকল যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করেছে।