নিজস্ব প্রতিবেদক : পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকালে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলের কর্মী সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দমনমূলক সরকারের অধীনে মানুষ ১৬ বছর ধরে নিপীড়ন সহ্য করেছে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৬ বছরে আমরা দেশে একটি গণতান্ত্রিক ক্ষেত্র তৈরির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই সময়ে আমাদের অনেক নির্বাচিত নেতা ও কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় ১৩০ জন শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগ বিএনপি পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, আমাদের ৪৫০ জন নেতাকর্মীকেও হত্যা করা হয়েছিল, যারা জুলাইয়ের আন্দোলনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। বিশাল রক্তপাতের পর আমরা ৫ আগস্ট অর্জন করেছি। ৫ আগস্টের বিশাল ত্যাগ ও অর্জনকে আমরা বিভ্রান্ত করতে পারি না।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং নির্বাচনকে ধ্বংস করেছেন, যা একটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। একজন ব্যক্তি যিনি ৩০ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। নির্বাচন প্রক্রিয়া যখন এগিয়ে চলেছে তখন দুই বা একটি রাজনৈতিক দল এখন পিআর ব্যবস্থার নির্বাচনের দাবি তুলেছে যা সংস্কারে আগে কখনও আলোচনা করা হয়নি।
তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত কখনও এ ব্যবস্থা অনুসরণ করে না। গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে কখনও এ ব্যবস্থা চালু করা হয়নি।
বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন।
এর আগে, বিএনপি নেতা জেলার বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ১৬ পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা ও অটোরিকশা বিতরণ করেন।