নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঘনঘন বৈঠক হলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ করেই আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি এভাবে ডাকেন মাঝে মাঝে, যখন ক্রাইসিস তৈরি হয় সরকারের। আমরা যাই, কারণ এই সরকারকে সহযোগিতা করবো বলে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য যা কিছু করা দরকার, করবো। তবে, আমরা মনে করি এই মতবিনিময়টা আরো ঘনঘন হলে ভালো হতো।
বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কালকে যেটা হয়েছে, একটি বিমান দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক কচি প্রাণ গেছে। আমি নিজেও দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা দুঃখপ্রকাশ করেছি, শোক জানিয়েছি। গতকালকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাইলস্টোন স্কুলে দুই উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। পরীক্ষা সংক্রান্ত জটিলতায় সচিবালয়ে ছাত্ররা ঢুকে পড়ে; যেটা সবার কাছে মনে হয়েছে, এতে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন আগে গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট শক্তির লোকজন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তাদের উত্থানের নমুনা মনে হয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটার জন্য যে রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছেন। আমরা সেখানে আলোচনা করেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দ্রুত ত্বরান্বিত করা, ওনার যে প্রতিশ্রুতি ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাঝামাঝি সময়ে যে নির্বাচন হবে, আমরা মনে করি সে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এবং তিনি বলেছেন সে ব্যবস্থা নেবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সীমাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এই সরকারের স্বাভাবিক ত্রুটি থাকবে। তবে, এই দুর্বলতাকে বড় করে না দেখে তাদের সদিচ্ছাকে বড় করে দেখা উচিত। নির্বাচন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখছি না।
বিমান দুর্ঘটনায় সরকারের উদ্যোগে ঘাটতির প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের অভিজ্ঞতার অভাব আছে। সরকারে অনভিজ্ঞ লোক আছে।
সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটছে। এখানে ডেফিনেটলি ফ্যাসিস্টরা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে।