সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ফেনীকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ জরুরি

আবদুল হাফিজ খসরু :

মুহুরী, ফেনী, কহুয়া, ডাকাতিয়া বা ছোট ফেনী, কালিদাস পাহালিয়া ও সিলোনিয়া নদী বিধৌত ছোট্ট জনপদ ফেনীর বর্তমান অবস্থা ভালো নয়। ২০২৪ এর প্রলয়ংকরী বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারও পূর্বাভাস শোনা যাচ্ছে।
মূলত নদীগুলোর ভারতীয় উজান থেকে বঙ্গোপসাগরের গড় দূরত্ব প্রায় ৫০ কিমি: এর চেয়েও কম। যার কারণে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ী ঢলের পানি অতিদ্রুত বেগে প্রবাহিত হয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো ফেনী জেলাকে ভাসিয়ে দিয়ে যায়। বিশেষ করে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলা বেশী ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।
২০২৪ বন্যা পরবর্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও কার্যত তা কতটুকু সফল হয়েছে তা এবারও টের পাওয়া যাচ্ছে। ফুলগাজী-পরশুরামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৬ টি স্থান ইতিমধ্যে ভেঙে প্রবল বেগে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
ফেনীর ৬টি নদীর পানি ২টি স্লুইস গেট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এর মধ্যে মুছাপুর স্লুইস গেট গত বছর বন্যায় ভেসে যায় যা আজও পুননির্মাণ করা হয়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য খালে জোয়ারের সময়ে এখন লোনা পানি প্রবেশ করছে। কিছু খাল ভরাট হয়ে যাওয়াতে বন্যার পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্থ করছে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ফেনী শহরে নগরায়ণ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু শহরের খালগুলো অধিকাংশ এখনো বেদখলে। কিছু খাল পুনখনন জরুরি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্যার পানি নিষ্কাষণে অন্যতম বাধা। যা দূর করতে বেশ কিছু ব্রিজ-কালভার্ট স্থাপন জরুরি। ফেনী পৌরসভা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে অন্তত শহরের একাংশ জলাবদ্ধতায় ডুবতো না।
ফেনীকে বাঁচাতে সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ এখনই শুরু করা দরকার। না হলে প্রতি বছর এই অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে।