রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের নামে অপহরণ মামলা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সভাপতিসহ ৬ জনের নামে মাদরাসার ছাত্রী অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বকশীগঞ্জ থানায় অপহরণ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা।
মামলায় উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসরাফিল আকন্দসহ নামীয় ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামী করে এই অপহরন মামলা দায়ের করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় মীর কামাল হোসেন দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের মাঝগেদরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন ও তার সহযোগীদের সাথে নিয়ে মাদরাসার সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের ঘটনা জানাজানি হলে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ ও তার ছেলে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসরাফিল আকন্দ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবাকে মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিওিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, উভয়পক্ষ বাট্টাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মেম্বারকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করিলে সালিশি বৈঠকের এক পর্যায়ে পক্ষগনের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোল শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ জানান তৃতীয় পক্ষের একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে আমাকে হে প্রতিপন্ন করার জন্য আমাকে আসামি করেছে। এ মামলায় আমাকে আসামি করার কোন যুক্তি নেই কারণ উভয়পক্ষ আমার কাছে আসলে আমি উভয় পক্ষের কথা শুনে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।