বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

বেনাপোলের শুল্কফাঁকির দুই কোটি টাকার পণ্যের চালান আটক

যশোর প্রতিনিধি : ভারত থেকে আনা দুই কোটির টাকার মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধসহ বিভিন্ন পণ্য আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর শেড থেকে পণ্য চালানটি আটক করে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এসময় ৬ বস্তা বিভিন্ন ধরনের পণ্য শুল্কফাঁকি দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে ঘোষণাছাড়া আনায় আমদানিপণ্য আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটককৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রকার ৬০ কেজি ঔষধ, দুই বস্তা ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, শাড়ি কাপড় ৬০ পিস, ২২০০ পিস মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ও এক কেজি ওজনের সাদা রং এর গুড়াপাউডার। তবে পাউডারের প্রকৃতি সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কাস্টমস। পরীক্ষাগারে টেস্ট করার পর জানা যাবে এটি কী ধরনের পাউডার। পণ্য চালানটি আটককালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মির্জা রাফেজা ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আজহারুল ইসলাম। এ সময় পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, এই পণ্যগুলোর যশোর বেনাপোলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন্স’ এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট ‘সার্ভিসলাইন’ । আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবলুর রহমান ও বন্দরের শেড ইনচার্জ তরিকুলের যোগসাজশে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক শুল্কফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করেছিলো।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার মির্জা রাফেজা জানান, ভারত থেকে আনা আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য চালানটি আটক করা হয়েছে। অফিস খুললে কমিশনারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বন্দর সূত্র জানায়, আমদানিকারক বাবলুর রহমান এবং ২৬ নম্বর শেডের ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য বৈধ আমদানিকৃত মালামালের সাথে গোপনে নিয়ে এসে ২৬ নম্বর শেডে রাখেন। পরে এসব পণ্য শেডের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়। বৈধ মালের কাস্টমস শুল্ক আদায় করে ছাড়পত্র দিয়ে ট্রাকে করে বৈধ মালের সাথে গোপনে অবৈধ মাল ট্রাকে লোড করে গন্তব্যে পাঠানো হতো।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে বেনাপোল বন্দরের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চলছে শুল্কফাঁকি ও নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের মহাউৎসব। এতে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং সমাজে বাড়ছে মাদক ও নিষিদ্ধ ওষুধের ব্যবহার।