ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : “মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে”—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ. জেড. এম. জাহিদ হোসেন।
বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রয়াত সংসদ সদস্য আমান উল্লাহ চৌধুরীর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবর জিয়ারত ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভালুকা বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্থানীয় এলাকায় আয়োজিত স্মরণ সভায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “আগামী দিনগুলো হবে কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
বুধবার মরহুমের বড় ছেলে আহসান উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোর্শেদ আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন মাসুদ, ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার আজিজ টুটুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মামুনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্টজন এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ডাঃ এজেএম জাহিদ হোসেন জাতীয়তাবাদী চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মানুষ মারা গেলেও বেঁচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে। তেমনিভাবে মরহুম আফতাব উদ্দিন চৌধুরী ও আমানুল্লাহ উল্লাহ চৌধুরীর করা রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে ভালুকার মানুষ এখনো তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক তৈরি করা চৌধুরী পরিবারের অবদান রয়েছে। এ মহাসড়কের কারনেই ভালুকা এখন শিল্পনগরে পরিণত হয়েছে এবং জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে। স্মরণসভায় জেলা ও উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় প্রধান অতিথি ও বক্তারা মরহুম আমান উল্লাহ চৌধুরীর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভালুকা ও এর আশেপাশের এলাকার মানুষের উন্নয়ন, জনকল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা এবং তাঁর অবদানের কথা তুলে ধরেন।
ভালুকাবাসী প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে মরহুম আমান উল্লাহ চৌধুরীকে, যিনি শুধু রাজনীতিবিদই নন, বরং ছিলেন একজন সমাজসেবক ও জনমানুষের নেতা।
স্মরণ সভায় বিএনপি’র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চৌধুরী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশগ্রহণ গ্রহন করেন।