নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা চান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বলেছেন, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রণোদনা দেওয়া হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে এখনো পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমি আশা করি, সংশোধিত বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা দেওয়া হবে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়িহাট দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামার প্রশিক্ষণ ভবনে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গবেষণা পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্র এ কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আরও বলেন, কৃষিতে বিদ্যুৎ বিল ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খামারিদের জন্য দেওয়া হয় না। তবে যতদূর জানতে পেরেছি, বাজেটে এ খাতে খামারিদের জন্য ৩০৩ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক গবেষণা কাজে নিয়োজিত বিজ্ঞানীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা না দিলে আমরা বিদেশনির্ভর থাকতে বাধ্য হব। আমরা হয়তো বিদেশি বই পড়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারব, কিন্তু বিজ্ঞানীদের দ্বারা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কিংবা জ্ঞান দিতে পারব না। তা শুধু তারাই দিতে পারবে। কাজেই বিজ্ঞানীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ‘উন্নত প্রযুক্তিতে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও ভ্যালু এডেড পোল্ট্রি উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক খামারি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে স্থানীয় খামারিরা প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথাও তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী ও বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন।