যশোর প্রতিনিধি :
যশোরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। শহরের ৪টি বেসরকারি হাসাপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এক লাখ ৪০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে চিকিৎসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি, নীতিমালা লঙ্ঘন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে প্রমাণ পাওয়ার কারনে জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের উদ্যোগে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নীতিমালা লঙ্ঘন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে জরিমানা করা প্রসঙ্গে।
যশোরের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিহির দেওয়ান এবং সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তার রওশন আরা লিজার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত প্রথমে পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আদালত অফিস সময়ে সরকারি হাসাপাতাল থেকে রোগী দালালের মাধ্যমে ভাগিয়ে নিয়ে আসা, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নীতিমালা লঙ্ঘন করে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ পান। তখন আদালত প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে জনতা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০হাজার টাকা, ডিএনএ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০হাজার টাকা এবং সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের ডাক্তার রওশন আরা লিজা জানিয়েছেন, যৌথ অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে রিপোর্ট তৈরির প্রমাণ পাওয়া, ফ্রিজে দীর্ঘদিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পাওয়া গেছে যা অস্ত্র প্রচারের সময় ব্যবহারের জন্য রাখা হতো। এছাড়া অন্যান্য অনিয়মের কারনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারায় মোট ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আগামীতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।