শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল-সিরিয়া : যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্ক দূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েল ও সিরিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টম ব্যারাক। শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

টম ব্যারাক জানান, এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক, জর্ডান এবং আশেপাশের অন্যান্য দেশগুলো। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুজ, বেদুইন ও সুন্নিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা অস্ত্র নামিয়ে রেখে অন্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে মিলে একটি নতুন ও ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ান পরিচয় গড়ে তোলে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে।’

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনো ইসরায়েল বা সিরিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই যুদ্ধবিরতি আসে এমন এক প্রেক্ষাপটে, যখন ইসরায়েল বুধবার সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করা বলে দাবি করে ইসরায়েল। সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সরকারপন্থী বাহিনী ও দ্রুজদের মধ্যে সংঘর্ষে বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় দামাস্কাসে একাধিক সরকারি ভবনকে লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, এই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারআ বুধবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে জানান, সুইদা প্রদেশ থেকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী প্রত্যাহার শুরু করেছে। গত সপ্তাহে ওই এলাকায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও বেদুইন গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হলে সরকার হস্তক্ষেপ করে। একই ভাষণে আল-শারআ দ্রুজদের সঙ্গে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির ঘোষণাও দেন।

তবে ভাষণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়ার জনগণকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন এবং বলেন, ‘ইসরায়েল চায় সিরিয়াকে বিশৃঙ্খলার এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে।’

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিরদানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রুবিও আগেই বলেছিলেন, সংঘাতে জড়িত সব পক্ষ একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে।