শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১ মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

রকিব-হুদা-আউয়াল গণতন্ত্র ধ্বংসকারী, তাদের বিচার হওয়া উচিত : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষ অপদস্থ হোক সেটি আমরা করব না। মানুষের অপরাধ থাকলে তার আইনসঙ্গত বিচার হবে। ন্যায্য বিচার হবে, সে যেন উপযুক্ত বিচার পায়। সাবেক সিইসি নুরুল হুদা, রকিব, হাবিবুল আউয়াল দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। সবকিছু তছনছ করে শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। এজন্য শুধু আমরা ধিক্কার ও ঘৃণা জানাই না, তাদের বিচার হতে হবে। অবশ্যই সেটা আইনসঙ্গতভাবে। শেখ হাসিনা যে পথ দেখিয়েছে, আমরা সে পথে যাব না। আমরা যাব গণতন্ত্রের পথে, আইনের পথে। এজন্যই ১৬ বছরের আন্দোলন- সংগ্রাম। আইন হাতে তুলে নেব না।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

জানানো হয়- বিজয় মিছিল, মৌন মিছিল, ছাত্র সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, রক্তদান, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান, ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ অন্তত ২২টি ভিন্নধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণ করবে বিএনপি। ৩০ জুন থেকে কর্মসূচি শুরু করবে বিএনপি।

রিজভী বলেন, কেন আমরা একজনকে ঢিল বা ডিম ছুঁড়ে মারবো, গলায় জুতামালা পরাবো? সে অন্য দলের হোক, তার অপরাধের ন্যায্য বিচার হতে হবে। সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনার গণতন্ত্র ধ্বংসকারী। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনকে তারা মাটিচাপা দিয়েছে। লেলিয়ে দিয়ে, বেআইনিভাবে রাস্তার মধ্যে যাকে – তাকে আঘাত করতে হবে, এটা আমরা করব না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গেল ১৬ বছর কখনো খেতে পেরেছি, কখন খেতে পারিনি। ঘুমাতে পারিনি রাতের পর রাত। এইভাবে জীবন যাপন করতে হয়েছে। গুম-খুনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কতদিন যে রিমান্ডে ছিলাম তার হিসাব নেই। সন্ত্রাস , মাদক কারবারীদের সঙ্গে কারাগারে রেখেছিল শেখ হাসিনার পুলিশ। রাজনীতিবিদরা ব্রিটিশ আমলেও কারাগার একটি মর্যাদা পেত, সেটুকু শেখ হাসিনা দেয়নি। দেশ ছিল হাসিনার পৈত্রিক সম্পত্তি। তার পরিবারের ছিল একচ্ছত্র অধিপতি। তার ছেলে-মেয়েরা ছিল রাজপুত্র কন্যার মত। ইচ্ছামত জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। সেই টাকা পাচার করে তাদের উত্তর প্রজন্ম যাতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে সেই কাজ তারা করেছে। এজন্যই দুবাই, কানাডা অথবা সিডনিতে যত অট্টলিকা দেখা যাবে সব আওয়ামী লীগের নেতাদের।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, দপ্তরে সংযুক্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ‘মায়ের ডাকের’ সমন্বয়কারী সানজিদা তুলি প্রমুখ।