মুক্তবাণী ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আজ ঘোষণা হচ্ছে। বহুল প্রত্যাশিত এই রায়ে গোটা জাতি অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগে এটিই হবে প্রথম বিচারের রায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করছে। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজ সোমবার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে বিচারক গোলাম মর্তূজা হাসিনার রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের কল রেকর্ড আদালতে পড়ে শোনান। ওই ফোনালাপে আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন স্থানে হামলা, আগুন দেওয়া, সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশনার মতো বিষয় উঠে আসে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং পরবর্তীতে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।
এই মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে।