লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার (১২.৫.২০২৫) আল মুঈন ইসলামী একাডেমী, লক্ষ্ণীপুর মাদরাসার ছাত্র সানিম এর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু নিয়ে স্থানীয় মিডিয়াগুলো সত্য প্রকাশ না করে মাদরাসা দায়িত্বশীল এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে মনগড়া রিপোট করছ। যা অত্যন্ত গর্হিত ও ষড়যন্ত্র!
সানিমের আকস্মিক মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনাপ্রবাহ তার সহপাঠী এবং সরেজমিন থেকে যতটুকু জানা যায়, তা নিচে তুলে ধরা হলো :
নিহত সানিম একসপ্তাহ খানেক সবক শুনাইনি। মঙ্গলবার সকালে তার ক্লাস শিক্ষক হাফেজ মাহমুদ তাকে পড়া শুনানোর জন্য ডাকলে তখনও সে পড়া শুনাতে পারে নাই। ফলে শিক্ষক তাকে ৩/৪টি বেত্রাঘাত করে। এবং তাকে ক্লাস রুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে পড়ার নির্দেশ দেয়। সকাল ৮ টায় ক্লাস ছুটি হয়। ছুটির পর বাচ্চারা নাস্তা করে বিশ্রাম নিতে যায়। সানিমও সবার সাথে নাস্তা করে এবং বিশ্রাম নেয়। বেলা ১২.০০ টায় পুনরায় ক্লাস শুরু হয়। তখন সানিম ক্লাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষককে পড়া শুনায়। দুপুর ১.৪০ সিনিটে যোহর নামাজ আদায়ের জন্য ক্লাস ছুটি হয়। সবার সাথে সানিমও নামাজের নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে নামাজ আদায় করে। আনুমানিক বেলা ২.১৫ মিনিটে ছাত্ররা খাওয়া-দাওয়া করতে যায়। সানিম তখন সবার সাথে খাবার রুমে এসে আবার বাহিরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আনুমানিক ২.২০ মিনিটে একটি গামছা নিয়ে পুনরায় রুম সংলগ্ন টয়লেটে চলে যায়।
খাওয়া-দাওয়ার পরে বাচ্চারা টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে টয়লেটের দরজা দীর্ঘ সময় বন্ধ পায়। ফলে ২জন ছাত্র হ্যাঁচকা টানে দরজা খোলার চেষ্টা করে। এবং দরজা খুলতে সক্ষম হয়। দরজা খুলেই তারা সানিম কে ভ্যান্টিলিটারের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। ঐসময় ক্লাস শিক্ষকগণ লাঞ্চের জন্য রুমের বাইরে ছিলেন। তখন ছাত্রদের কেউ কেউ শিক্ষক কে ডাকতে ছুটে যায়। আর কয়েকজন সানিম কে জীবিত ভেবে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে খুলে মাদরাসার অফিস সংলগ্ন মেহমানখানায় নিয়ে যায়। শিক্ষকগণ দেখে বুঝতে পারেন যে সানিম মৃ-ত। সাথে এ-ও বুঝতে পারেন যে, তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে খুলে নিয়ে আসা মস্তবড় ভুল হয়েছে। কিন্তু তখন আর কিছুই করার ছিলো না।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তৎক্ষনাৎ প্রশাসনকে ও নিহতের অভিভাবক কে অবহিত করেন। প্রশাসনের লেকজন এসে তার লাশ প্রতিষ্ঠানের মেহমান খানা থেকে সদর হসপিটালে প্রেরণ করে। এবং নিহতের ক্লাস শিক্ষক হাফেজ মাহমুদ কে গ্রেফতার করে বর্তমানে কারাগারে রাখা হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সঠিক বিষয়টি তদন্তপূবক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ।