 
  
																
নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের জুনের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ হয়। তাঁর সেখানে দীর্ঘ সময় কথা বলেন বিভিন্ন বিষয়ে। তবে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সেই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ কোনো চিত্র গণমাধ্যমে আসেনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিবিসি বাংলা তারেক রহমানের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছিল যে, তাদের মধ্যে সেই বৈঠকে নির্বাচনের বাইরে আর কোনো বিষয় আলোচিত হয়েছে কি না।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া তারেক রহমানের ভারচুয়াল সাক্ষাতের দ্বিতীয় পর্ব আজ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘উনি অত্যন্ত একজন সনামধন্য মানুষ। অত্যন্ত বিজ্ঞ মানুষ উনি। তাঁর সঙ্গে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। উনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জনগণ যদি আপনাদের সুযোগ দেয় তাহলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য—এই বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। দেশের মানুষ, জনগণ এবং দেশকে নিয়ে আমার কিছু চিন্তা–ভাবনা, আমরা দেশের মানুষের জন্য কী করতে চাই সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে—যা গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে—তারেক রহমান বলেছেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।
বিএনপির ডি–ফ্যাক্টো প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে। কোনো বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়া সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি। আমি মনে করি, আমার দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে এসেছে।’