শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৩ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

লাশ পোড়ানোর মামলা : ৮ আসামি ট্রাইব্যুনালে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ আট আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। এদিন এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে আনা আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল।

গত ২৮ জুলাই এ বিষয়ের ওপর শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন মামলার আট আসামিকে হাজির করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজনকেও হাজিরের কথা ছিল। তবে পলাতক আসামিদের পক্ষে সরকারি খরচে দুজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে, এ মামলার পলাতক আট আসামিকে গ্রেফতারসহ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই এ আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

গত ২ জুলাই এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মো. সাইমুম রেজা তালুকদার।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, সাক্ষী ৬২, দালিলিক প্রমাণাদি ১৬৮ পৃষ্ঠা ও দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়েছে। পরে এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেননি তারা। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।