স্পোর্টস ডেস্ক
ঢাকা স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডে হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে এগিয়ে গেলেও ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে ১-১ গোলে সমতায় বিরতিতে যায় স্বাগতিক দল।
আজ বৃহস্পতিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের ইংলিশ কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড মন্তব্য করেছিলেন, “হামজা আমার দলের হলে তার জায়গা হতো বেঞ্চে।” তার সেই মন্তব্যের জবাব যেন মাঠেই দিয়ে দেন হামজা চৌধুরী। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে হংকং বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। বক্সের বাম কোন থেকে নেওয়া হামজার জোরালো শটটি চোখের পলকে হংকংয়ের জালে জড়ায়। শেষ মুহূর্তে এক ডিফেন্ডার মাথায় ছুঁইয়ে গোল ঠেকানোর চেষ্টা করলেও, শটের গতি এতটাই বেশি ছিল যে তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শামিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম এবং জামাল ভূঁইয়াকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজান। তবুও, ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। গ্যালারিভর্তি দর্শকদের উৎসাহে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে দেখা যায় বাড়তি উদ্দীপনা। গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও।
তবে দুর্দান্ত খেলার মাঝেও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার পুরনো অভ্যাস থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে হংকংয়ের একটি আক্রমণ থেকে গোল হজম করে বসে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
বাংলাদেশের শুরুর একাদশে ছিলেন: মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তারিক রায়হান কাজী, শাকিল আহাদ তপু, তাজ উদ্দিন, সাদ উদ্দিন, হামজা দেওয়ান চৌধুরী, সোহেল রানা, সোহেল রানা-২, শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন এবং ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।