সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬ জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

‘লীগের সামগ্রীক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’

শামসুল আরেফীন শক্তি

অনেক জায়গা থেকে শুনলাম লীগের ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’ নিষিদ্ধ চাওয়ার দাবি। এর চেয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হয় না। সাপকে দুইটা বাড়ি দিয়ে ছেড়ে দেয়ার মতো। যাতে সে আবার ফিরে আসতে পারে।

আওয়ামী লীগের মতো ন্যারেটিভ, এস্টাবলিশমেন্টওয়ালা দলকে আপনি জাস্ট রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষেধ করে কিছুই করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের কালচারাল কর্মকাণ্ড (বাঙালি জাতীয়তাবাদী), গবেষণা কর্মকাণ্ড (ঘাদানিক, সিআরআই ইত্যাদি), প্রপাগান্ডা মেশিন (প্রথম আলো, ডেইলিস্টার, কালবেলা, ট্রিবিউন, একাত্তর টিভি, সময় টিভি) এগুলো টিকে থাকলে আওয়ামী লীগের বৈপ্লবিক পুনর্জাগরণ কেউ আটকাতে পারবে না। বাংলাদেশকে ছোবল দেবার জন্য আবারও মানুষ ভোট দিয়ে লীগের হাতে দেশ তুলে দেবে যদি লীগের চাহিদা টিকে থাকে। আর উপরের কর্মকাণ্ড সেই চাহিদাই তৈরি করে দেবে।

সুতরাং, কেবল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ নয়।

১. আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত সবকিছু নিষিদ্ধ করতে হবে। এই নামও কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

২. বাঙালি জাতীয়তাবাদকে খতম করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গীয় উপাদান ঝেড়ে বাংলাদেশীয় কালচার ফেরাতে হবে (বাদ দেয়া আরবি-ফারসি শব্দবহুল বাংলাভাষা, মুসলমানের আকীদা-বিশ্বাসভিত্তিক কালচার প্রভৃতি)

৩. মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী-ভারতী বয়ান ও বিকৃত ইতিহাসের বদলে প্রকৃত ইতিহাস সামনে আনতে হবে। (২৫ মার্চের আগে বিহারী গণহত্যা, শেখ মুজিবের স্বাধীনতাবিরুদ্ধ ভূমিকা, বিজয়ের ভারতীয় হাইজ্যাক ইত্যাদি)

৪. সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুল বয়ান ভাঙতে হবে। এজন্য সংখ্যালঘুদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

৫. দেশী মিডিয়াগুলোর নিয়ন্ত্রণ আওয়ামী দালালদের থেকে নিয়ে এন্টি-ইন্ডিয়া মানুষদের হাতে নিতে হবে।

৬. আওয়ামী ও ভারতের একনিষ্ঠ সহযোগী বাম দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কমরেডস কমরেডস বলে আদর করে লাভ নাই। তোমারেই আগে ঝুলাবে এরা।

ধাপে ধাপে এই কাজগুলোর একটাও যদি বাকি থাকে, লীগ আবার আসবে। শুধু ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের’ ভিতর লীগকে বুঝতে পারবেন না। লীগ একটা আদর্শ, একটা অবস্থান। পুরো প্যাকেজটা নিষিদ্ধ করতে হবে।