আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের পূর্বাঞ্চলে নতুন করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এ হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। – তথ্যসূত্র: আনাদোলু
লেবাননের রাষ্ট্রীয় জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বেকা উপত্যকার আল-মাসনা আন্তর্জাতিক সড়কে একটি গাড়িতে হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, পূর্ব লেবাননের বালবেকের পশ্চিমে কাফার দান শহরে আরেকটি ড্রোন হামলায় একজন লেবানিজ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
সংবাদ সংস্থার মতে, ড্রোনটি লক্ষ্য করার সময় ওই ব্যক্তি তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের মারজায়ুন জেলার দেইর সিরিয়ানে রাতভর ইসরাইলি হামলায় এর আগে একজন সিরীয় নাগরিক নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন।
এনএনএ জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী লিটানি নদীর কাছে দেইর সিরিয়ানের উত্তর উপকণ্ঠ, পাশাপাশি আবাসিক এলাকার কাছে একটি গ্যারেজ এবং বুলডোজারও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
একটি বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে তারা হিজবুল্লাহর অবকাঠামোগত স্থানে আঘাত হেনেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরাইল লেবাননে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যকার এই যুদ্ধে ৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার আহত হন।
নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হলেও ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের দাবি, তারা হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কার্যকলাপকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
যুদ্ধবিরতির অধীনে, ইসরাইলের ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহার করার কথা ছিল, কিন্তু তেল আবিব তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। যদিও ইসরাইল এখনও পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।