এস এম সায়মুন, চট্টগ্রাম:
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে ৩দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
কর্মসূচির প্রথম দিন ২৯ মে সকাল ১০টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাঙ্গুনিয়াস্থ “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নগরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।
দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বাদজুমা নগরীর বিভিন্ন মসজিদে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাইকে শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার ভাষণ প্রচার। এরপর যুবদলের উদ্যোগে: সার্কিট হাউজে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরে কোরআন খতম এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ। তৃতীয় দিন ৩১মে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে গরীব ও অসহায় ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন।
শনিবার (২৪ মে) বিকেল ৪টায় নগরীর নাসিমন ভবনস্থ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় চত্বরে শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সশস্ত্র বীর যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধ করেছেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে সংগ্রামের পথে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর এই সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব একটি জাতিকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।
যুদ্ধশেষে, যখন দেশ ছিল বিপর্যস্ত, তখন তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দেশকে পুনর্গঠনের অভিযানে নামেন। দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিভ্রান্ত প্রশাসনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনেন, অর্থনীতিকে সচল করেন, কৃষি বিপ্লব ঘটান, শিল্প স্থাপন করেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটান। তিনি মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেন যে—বাংলাদেশ পারে, এ জাতি সক্ষম।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এ. আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস.এম. সাইফুল আলম, হারুন জামান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মনজুরুল আলম মঞ্জু।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম.এম হান্নান, এস.এম আবুল ফয়েজ, মুজিবুল হক, মো. মহসিন, মো. খোরশেদ আলম, মো. সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মশিউল আলম স্বপন, মো. জাফর আহম্মদ, এ.কে. খান, গাজী আইয়ুব, মাহবুব রানা, এম.এ সবুর, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম, মো. আশ্রাফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ইউছুপ।
আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেদ এবং ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—শহীদ জিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, তাঁর আদর্শের প্রতি অঙ্গীকার, এবং দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারকারী একজন মহান নেতাকে সম্মান জানানোর একটি দায়িত্ব। তাই সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, নিজ নিজ অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ করে কর্মসূচিগুলোকে সফল ও সার্থক করে তুলুন এবং শহীদ জিয়ার স্বপ্নের গণতান্ত্রিক, উন্নত ও জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ গঠনের সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।
এসএসএইচ.