বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
শাবি
৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:০২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ২০২৫ সালের ডায়েরিতে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সিলেট বিভাগের শহীদদের নাম। এতে সিলেট বিভাগের ৩ জেলার মোট ৩৩ জন শহীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশের উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জুলাই বিপ্লব সম্পর্কে সচেতন করবে এবং দেশের গণতান্ত্রিক চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে।
ডায়েরিতে উল্লিখিত সিলেট বিভাগের শহীদদের তালিকার শুরুতেই রয়েছেন দিনাজপুর জেলা থেকে পড়তে আসা শাবি শিক্ষার্থী শহিদ রুদ্র সেন।
এ ছাড়া রয়েছেন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার নিদনপুর গ্রামের মো. তারেক আহমদ, নয়াগ্রামের ময়নুল ইসলাম, ফতেহপুর গ্রামের আবু তাহের মোহাম্মদ তুরাব, কাকুরা গ্রামের সোহেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্ত গ্রামের মো. নাজমুল ইসলাম, বারকোট গ্রামের মো. তাজ উদ্দিন, শিলঘাট গ্রামের সানি আহমদ, উত্তর কানিশাইল গ্রামের মো. পাবেল আহমদ কামরুল, দক্ষিণ রায়গড় গ্রামের জয় আহমদ, পশ্চিম দত্তরাইল গ্রামের মিনহাজ আহমদ, ঘোষগাঁও উত্তরের গৌছ উদ্দিন, জালালাবাদ থানার গৌরীপুরের মো. মোস্তাক আহমদ, ইনাতাবাদ গ্রামের ওয়াসিম।
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ভাঙারপাড় গ্রামের হোসাইন মিয়া, জাতুকর্ণ পাড়ার মো. আশরাফুল আলম, পাড়াগাঁওয়ের মো. মোজাক্কির মিয়া, উত্তর পূর্ব বানিয়াচং’র শেখ নয়ন হোসেন, মো. আনাস মিয়া, দক্ষিণ পূর্ব বানিয়াচং’র মো. তোফাজ্জল হোসেন, মীর মহল্লা পূর্ব’র মো. সাদিকুর রহমান, চানপুর গ্রামের মো. আকিনুর রহমান, সাগরদীঘির পূর্ব পাড়ের সোহেল আখঞ্জী।
নবীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাদ গ্রামের আজমত আলী, মাধবপুর উপজেলার শিমুলঘরের শেখ মো. সফিকুল ইসলাম, লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের মামুন আহমেদ রাফসান, মো. নাহিদুল ইসলাম, কামালপুরের মোনায়েল আহমদ ইমরান, পশ্চিম রুহিতন্সী গ্রামের কারিমুল ইসলাম, হবিগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর আবাসিক এলাকার রিপন চন্দ্র শীল।
সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার জলুশাহ গ্রামের মো. আয়াতুল্লাহ, দুর্গাপুরের হৃদয় মিয়া, জামালগঞ্জ উপজেলার গোলামীপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া।
ডায়েরির ১১৮ থেকে ১২০তম পাতায় শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ডায়েরিতে শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে ডায়েরি প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রিজাউল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিটিতে আলোচনা করা হয়। কমিটির কয়েকজন প্রস্তাব দেন সদ্য সমাপ্ত আন্দোলনের শহীদদের নাম স্মরণীয় করে রাখার জন্য তাদের নাম ডায়েরিতে আনা যায় কি-না। ডায়েরি প্রস্তুত কমিটির সবাই এ বিষয়টি ধারণ করি এবং আমরা সবার সমন্বিত প্রয়াসে ডায়েরিতে এই তালিকা যুক্ত করি।
তিনি আরও বলেন, তালিকা তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ক্রস চেক করি। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সংগ্রহ করা তথ্য মিলিয়ে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের তালিকা তৈরি করা হয়।
জুবায়েদুল হক রবিন/এএমকে