মুক্তবাণী অনলাইন:
সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ রাখার বিপক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। দলটি জানিয়েছে, ‘বহুত্ববাদ’ শব্দটি বাদ দিয়ে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিস্থাপন করতে হবে। গত সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে তারা মতামত তুলে ধরেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সকালে নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারীর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। তারা জানিয়েছে, সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছরের পরিবর্তে ১৮ বছর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সর্বোচ্চ ২৫ সদস্যবিশিষ্ট ও মেয়াদ প্রস্তাবিত চার মাসের পরিবর্তে ৯০ দিন করা, পৌরসভা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে ওয়ার্ডকে সরাসরি উপজেলা পরিষদভিত্তিক স্থানীয় সরকারের অধীন করা, ক্যাপিটাল সিটি গভর্নমেন্ট ব্যবস্থার পরিবর্তে মহানগরভিত্তিক স্থানীয় সরকারব্যবস্থা কার্যকর করা, ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সরাসরি উপজেলা পরিষদের সদস্য করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সভাপতি আলী হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন আল রশীদ খান প্রমুখ।
সংলাপে সংস্কারকাজের অগ্রগতি তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য যেমন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা, তেমনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক শক্তিগুলোসহ নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা। আমরা ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী, সংগঠন সচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, দফতর সচিব মুফতি দিনে আলম হারুনী, প্রচার সচিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসঊদ খান, সহকারী অর্থ সচিব আলহাজ্ব আনওয়ারুল কবীর, নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি আমীর জিহাদী প্রমুখ।
এসএসএইচ.