মুক্তবাণী অনলাইন ।।
ভারতীয় বয়ানে আবারো বাঙালি মুসলমানদের জঙ্গি-মৌলবাদ তকমা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার দেশ-এর ঈদ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে তরুণরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করলেও সপ্তাহখানেক সময় থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা আবারো দিল্লির বয়ান গ্রহণ করে বাঙালি মুসলমান ও আলেম-ওলামাদের জঙ্গি ও মৌলবাদ তকমা দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আবারো হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনোভাবেই আর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ভুলুন্ঠিত হতে দেব না। এ জন্য সাংস্কৃতিক লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় বয়ান মোকাবিলায় আমাদেরকে জিততে হলে সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মাধ্যমে জিততে হবে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমার দেশ-এর ঈদ সংখ্যাও সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের একটি অংশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের কাছে দায়বদ্ধ নয়। আমার দেশ-এর একমাত্র দায়বদ্ধতা এ দেশের জনগণ, পত্রিকার পাঠক, নিজের বিবেক এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর কাছে। আমার দেশ কোনো সরকারের রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না। সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা অব্যাহত থাকবে। ফলে ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমরা সর্বদা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব্যের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব।’
অনুষ্ঠানে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, দৈনিক নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর, আমার দেশ-এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক এলাহী নেওয়াজ খান, কাজী রওনক হোসেন, লেখক রেজাউল করিম, এনায়েত রসুলসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, ডেপুটি এডিটর সুলতান মাহমুদ বাদল, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনসহ আমন্ত্রিত অতিথি, লেখক, সাংবাদিক, বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আমার দেশ-এর ঈদ সংখ্যা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের এজেন্ট ও হকারদের কাছে অর্ডার করেও পাঠকরা ঈদ সংখ্যা সংগ্রহ করতে পারবেন। ৪০০ পৃষ্ঠার ঈদ সংখ্যার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা।