মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

সিইসিকে ববি হাজ্জাজ : নিষিদ্ধ আ.লীগের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হলে অযোগ্য ঘোষণা করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেউ যেন অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম)। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগামী দুই মাসের মধ্যে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসকাজ নিষ্পন্ন দেখতে চায় দলটি।

সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ চেয়েছি। নির্বাচনি ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকায় উত্তীর্ণ করতে বলেছি। পিভিসি পোস্টার বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া নিবন্ধন স্থগিত রয়েছেÑএমন দলের নেতারা যেন ভোটে দাঁড়াতে না পারেন, ইসি যেন সে ব্যবস্থা নেয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনডিএম চেয়ারম্যান বলেন, যখন ২৫ লাখ টাকা ব্যয়সীমা করা হয়েছিল, সেই বাজারদর আর এখন নেই। সবকিছুর দাম বেড়েছে। তার ওপর পোস্টার তুলে দিতে চাচ্ছে। তাই ব্যয়সীমা বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিলবোর্ডের কথা বলেছে প্রচারের জন্য। বিলবোর্ড ভাড়া করতে হলে ৪০ লাখ টাকার মধ্যেও ব্যয় সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়।

নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে-এমন দলের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন স্থগিত থাকা দলের কোনো সদস্যের ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টি যেন অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। নাম লুকিয়ে যেন সেই দলের কোনো নেতা ভোটে না আসতে পারে, তার ব্যবস্থা করার কথা বলেছি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ববি হাজ্জাজ বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন যখন বলছি, তখন আওয়ামী লীগের কথাই বলছি। কেন্দ্র, জেলা বা উপজেলা কমিটিতেও যারা পদে ছিলেন, এমন নেতাদের কথা আমরা বলেছি, যেন তাদের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। যখন আইন পাস হয়, তখন সেটার স্পিরিট মানতে হবে। নিবন্ধন স্থগিতাদেশ যদি না ওঠে, তাহলে তারা ভোটে অংশ নিতে পারবেন না।

এনডিএম-প্রধান বলেন, ভোটের পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে বলেছি, ফেব্রুয়ারিকে ধরে যেন ইসি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারিখ নিয়ে আলোচনা হলে তা জানানো। তবে সিইসি বলেছেন, কোনো নির্দেশনা সরকারের তরফ থেকে আসেনি। তারা জুনের মধ্যে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, কখন নির্বাচন হবে-তা যদি সিইসি পরিষ্কার করে জানান, তবে জনগণের ধারণা পরিষ্কার হবে।