স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৩) হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে প্রথমে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন– আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।
রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। গ্রেফতাকৃতরা কেউ মামলার এজাহারনামীয় আসামি নন।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে মহাখালী ওয়ারলেস গেট ও আশেপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। সিসিটিভি ফুটেজেও তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান ছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ঘটনার সময় তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ ও মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে ঘটনায় ২নং আসামিকে তারাই ডেকে এনেছেন। গ্রেফতার আসামিরা মামলার এজাহারনামীয় ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের চেনে এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানে।
এর আগে, শনিবার বিকেলে পাশের ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির জেরে প্রাইমএশিয়ার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে পারভেজের বাগবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে দুইপক্ষের মধ্যে মীমাংসা করা হয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে ৩০ থেকে ৪০ জন ঘিরে ধরে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে প্রথম জানাজা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে সেই ‘কথিত প্রেমিকা’ শনাক্ত হলেও মামলায় তার নাম নেই।
মামলার উল্লিখিত আসামিরা হলেন– মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০), মো. মাহাথির হাসান (২০), সোবহান নিয়াজ তুষার (২৪), হৃদয় মিয়াজি (২৩), রিফাত (২১), আলী (২১) ও ফাহিম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।