বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১২ সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সুদানের বিভিন্ন গ্রামে হামলায় ৩০০ মানুষ নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুদানের নর্থ কর্দোফান রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এমন অভিযোগ করেছে সুদানে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবীদের একটি দল। তাদের অভিযোগ, গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ প্রায় ৩০০ জনকে হত্যা করেছে আরএসএফ।-খবর আল জাজিরার।

সোমবার আইনজীবীদের বিবৃতিটি এমন সময় দেওয়া হলো যখন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আরএসএফ এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হচ্ছে। ২০২৩ সাল থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির সেনাবাহিনী মধ্য এবং পূর্ব সুদানে দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। অন্যদিকে আরএসএফ উত্তর কর্ডোফান এবং দারফুরসহ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আরএসএফ শনিবার বারা শহরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি গ্রামে হামলা চালায়। শাগ আলনম গ্রামে তাদের হামলায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের হয় ঘরের ভেতরে পুড়িয়ে মারা হয়েছে অথবা গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

পাশের গ্রামগুলোতে হামলায় মারা গেছে ৩৮ জন বেসামরিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।

পরদিন, আরএসএফ হিলাত হামিদ গ্রামে হত্যাকাণ্ড চালায়। সেখা গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়। আইনজীবীরা বলেছেন, গ্রামগুলো সামরিক লক্ষ্যবস্তু থেকে সম্পূর্ণ বাইরে ছিল।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) রোববার জানিয়েছে, এই অঞ্চলে তীব্র সংঘাতে কারণে তিন হাজারের বেশি মানুষ শাগ আলনম এবং আল-কোর্দি গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো আরএসএফকে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য অভিযুক্তও করেছে।

আরএসএফ সেনারা দেশজুড়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সহিংস লুটপাট চালিয়েছে। আরএসএফ নেতৃত্ব বলছে, তারা হামলায় জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে।

সুদানের গৃহযুদ্ধ বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট তৈরি করেছে। যার ফলে দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি খাদ্য সংকটে ভুগছে। দেশজুড়ে কলেরাসহ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন রোগ।

চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের নতুন তদন্ত শুরু করেছে।